'অগ্নিপথ' প্রকল্প নিয়ে ‘জনস্বার্থ’ মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মোদী সরকারের নয়া প্রকল্প ‘অগ্নিপথ’ ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং দেশের নিরাপত্তার জন্য কতটা সঠিক, তা খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছিল গত কয়কদিন আগে। সেই মামলা গ্রহণের বিষয়টি এখন ভারতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার বিচারাধীন। এদিকে, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই মামলায় ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় মঙ্গলবার আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী হর্ষ অজয় সিং। এর আগে সুপ্রিম কোর্টে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি এবং এম এল শর্মা।
শীর্ষ আদালতে মামলাকারীরা দাবি জানিয়েছেন, 'অগ্নিপথ' প্রকল্প খতিয়ে দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হোক। পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসাত্মক বিক্ষোভের জেরে সরকারি সম্পত্তির কত ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করার আর্জি জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
গত ১৪ জুন, ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের ঘোষণা করে কেন্দ্র পরেই দেশজুড়ে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, নয়াদিল্লি, তেলেঙ্গানাসহ একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা দাবি জানান, বর্তমানে প্রায় দেড়লাখ শূন্যপদ রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। কিন্তু সেগুলি পূরণ না করে ‘অগ্নিপথ’ নামে এক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র, যেখানে মাত্র ৪ বছরের মেয়াদে কাজ করতে পারবে তাঁরা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার তাঁদের ভবিষ্যত নিয়ে ছেলেখেলা করছে। তাঁরা আওয়াজ তোলেন - ‘ভর্তি দো ইয়া আরতি দো’ অর্থাৎ, চাকরি দিন নাহলে আমাদের মেরে ফেলুন।
বিক্ষোভের মুখে পড়ে 'অগ্নিবীর'দের জন্য আরও ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বয়সের ঊর্দ্ধসীমা আরও ৫ বছর বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরেও বিক্ষোভ থামেনি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।