
ইডি অফিসারের বাড়িতে হানা আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের। জানা যাচ্ছে, ওই ইডি অফিসারের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ১ কোটি টাকা। পলাতক মূল অভিযুক্ত। তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ধৃতের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মূল অভিযুক্তের সন্ধান চলছে।
ঘটনাটি ঘটেছে হিমাচল প্রদেশের সিমলায়। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ইডি আধিকারিক সহকারি ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। সম্প্রতি ইডির চণ্ডীগড় দফতরের তিন বছর পুরানো দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ) –এ একটি এফআইআর দায়ের হয়। তারই তদন্তে নেমে অভিযুক্তের সিমলার বাড়িতে পৌঁছান সিবিআই আধিকারিকরা।
সংবাদ মাধ্যমে এক সিবিআই কর্তা জানান, ওই ইডি আধিকারিক এবং তাঁর ভাই তিন বছর পুরানো একটি আর্থিক তছরূপের মামলায় অভিযুক্ত। তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধে মোট ৫৪ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই সিমলার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না ওই অফিসার।
এক সিনিয়র সিবিআই আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ইডি কর্তার হেফাজত থেকে মোট ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রথম দফায় ৫৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়, যা ঘুষ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। তল্লাশিতে একটি গাড়ি-ও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ছোটা সিমলার স্ট্রবেরি হিলসের রানি ভিলায় ইডি কর্তার বাড়িতে হানা দেওয়ার পর আরও ৫৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।
ওই দিনই ইডি কর্তার ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, তাঁর ভাই একটি পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পদে রয়েছেন। পোস্টিং দিল্লিতে। তবে পলাতক ওই ইডি অফিসার। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে, তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৮৮-এর ৭A ধারার অধীনে মামলা দায়ের করেছে চণ্ডীগড় সিবিআই অফিস। অভিযুক্তকে চণ্ডীগড় বিশেষ আদালতে পেশ করা হলে, তাঁকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সিমলার এক ইডি অফিসার জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তে সেখানেও পৌঁছায় সিবিআইয়ের দল। ওই অফিসারের দফতরে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। চণ্ডীগড় এবং সিমলার সিবিআই আধিকারিকদের যৌথ অভিযানে চলছে তল্লাশি। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি অভিযুক্তের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন