

পড়াশোনা করেও মিলছে না কোনো চাকরী। তাই সমস্ত সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন ২৮ বছর বয়সী এক যুবক। ওই যুবকের লেখা সুইসাইড নোট থেকে এমনই জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ব্রিজেশ পাল নামের ওই যুবক উত্তরপ্রদেশের ভূদপুরওয়া এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তার আগে তিনি নিজের সমস্ত শংস্থাপত্র পুড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ব্রিজেশ পুলিশের চাকরীর জন্য চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কোনোভাবেই তিনি চাকরী পাচ্ছিলেন না। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার পর থেকে অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তার ফলেই বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ।
ব্রিজেশ তাঁর সুইসাইড নোটে জানিয়েছেন, তিনি ব্যর্থ। “এখন আমার মন খারাপ। চাকরি না পেলে ডিগ্রী দিয়ে কী লাভ? আমি তোমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি।“ চিঠিতে তিনি তাঁর বোনকে ভালোভাবে বিয়ে দেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের কাছে অনুরোধ করেছেন।
জানা গেছে, ব্রিজেশ পরিবারের একমাত্র ছেলে। তাঁর বাবা দিল্লিতে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরী করতেন। এবং তাঁদের গ্রামে জমি আছে। স্থানীয় থানার এসএইচও বিষ্ণু কান্ত তিওয়ারি জানান, ব্রিজেশের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় যোগী সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে লেখেন, “বিজেপি ক্ষমতায় আসার জন্য সমস্ত কৌশল অবলম্বন করেছিল, এখন চাকরি দেওয়ার নামে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। বেকারত্বের অবসাদে কনৌজের এক যুবক ব্রিজেশ পাল বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।”
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন