Bihar Bridge Collapsed: লাগাতার সেতু ভাঙার ঘটনায় ১১ ইঞ্জিনিয়ারকে বরখাস্ত নীতিশ সরকারের
বিহারে লাগাতার সেতু বিপর্যয়ে এবার বড় পদক্ষেপ নিল সরকার। ১১ জন ইঞ্জিনিয়রকে বরখাস্ত করল বিহারের জলসম্পদ বিভাগ। বিভাগের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে।
বিহারের উন্নয়ন সচিব চৈতন্য প্রসাদ সাংবাদিকদের জানান, রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন। প্রতিটি ভেঙে যাওয়া সেতুর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের খুঁজে বের করে এর জন্য জবাবদিহি করতে বলা হবে। ঠিকাদার যদি দোষী সাব্যস্ত হন, নতুন সেতু নির্মাণের খরচ পুরোটাই তাঁকে বহন করতে হবে।
বিহারে সেতু ভেঙে পড়ার সিরিজ চলছে। গত ১৭ দিনে ১২ টি সেতু ভেঙে পড়েছে। কেন এমন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি ফ্লাইং স্কোয়াড গঠন করেছিল বিহার সরকার। শুক্রবার সেই স্কোয়াড রিপোর্ট জমা দেয়। যেখানে বলা হয়েছে, সেতু ভেঙে পড়ার নেপথ্যে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারদের অনীহা এবং নজরদারির অভাব। এরপরই ১১ জন ইঞ্জিনিয়ারকে চিহ্নিত করে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এবিষয়ে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বুধবার একটি পর্যালোচনা বৈঠকের পরে, সমস্ত পুরানো সেতুগুলির একটি সমীক্ষা চালানোর এবং যেগুলির অবিলম্বে মেরামতের প্রয়োজন সেগুলি চিহ্নিত করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।"
অন্যদিকে, বিহারের সেতু বিপর্যয়কে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মামলাকারী আদালতে জানান, সাধারণ মানুষের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে। বিহার সরকারকে স্ট্রাকচারাল অডিট করার নির্দেশ দিতে হবে। পাশাপাশি যে সেতুগুলি নির্মাণ করা হচ্ছে তা পরিদর্শন এবং ভেঙে পড়তে পারে এমন সেতু চিহ্নিত করার জন্য কমিটি গঠন করতে হবে।
এই নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপিও। প্রাক্তন সাংবাদিক তথা বিজেপি নেতা নিখিল আনন্দ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "বিহারের এখন যে কোনো ফ্লাইওভার বা ব্রিজ পার হতে ভয় পাই। গত ১০ দিনে অর্ধ ডজন সেতু ভেঙে পড়েছে। আমি খুবই বিস্মিত। অত্যন্ত সিরিয়াস তদন্ত এবং অডিট প্রয়োজন এর জন্য।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন