
বিশিষ্ট লেখক তথা ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির নেতা গোবিন্দ পানসারে হত্যা মামলায় ৬ জন অভিযুক্তকে জামিন দিল বোম্বে হাইকোর্ট। তবে মূল অভিযুক্ত বীরেন্দ্র সিং তাওড়ের জামিনের আবেদনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।
গত বছর ১২ ডিসেম্বর, বিচারক অনীল এস কিলোরের সিঙ্গেল বেঞ্চে এই জামিনের শুনানি হয়। সেই সময় রায় সংরক্ষণ রেখেছিলেন তিনি। বুধবার রায় ঘোষণা করেন। শচীন আন্দুরে, গণেশ মিসকিন, অমিত দেগভেকর, ভরত কুরানে অমিত বাদ্দি এবং বাসুদেব সূর্যবংশী - এই ৬ জনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি না হওয়ার কারণেই মূলত ওই ৬ অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে আদালত।
মামলাটি প্রথমে সিআইডি-র বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) হাতে ছিল। পরে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে আদালতের নির্দেশে মামলাটি মহারাষ্ট্র সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের অধীনে যায়। তারপর ১২জন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। যার মধ্যে উপরে উল্লেখিত সাতজন ছাড়াও সমীর গায়কোয়াড়, অমল কালে এবং শরদ কালাসকর এই ১০জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং অস্ত্র আইনের অধীনে খুন, খুনের চেষ্টা এবং অপরাধমূলক কাজে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়।
২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি, আততায়ীদের হামলার শিকার হন বামপন্থী লেখক গোবিন্দ পানসারে (Govind Pansare)। পাঁচদিন পর, ২০ ফেব্রুয়ারি, মৃত্যু হয় তাঁর। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (CPI)-র সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। মহারাষ্ট্রে উপশুল্ক সংগ্রহ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ্য নেতা তিনি। হামলার ২০ দিন আগে, তিনি একটি জনসভায় গেরুয়া শিবিরের নাথুরাম গডসের প্রসিদ্ধি গাওয়ার তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁর একাধিক বই ও মন্তব্যের জন্য তিনি উগ্র গেরুয়া শিবিরের রোষানলে পড়েছিলেন।
উল্লেখ্য, বীরেন্দ্র সিং তাওড়ে, শচীন আন্দুরে এবং শরদ কালাসকরের নাম ২০১৩ সালে যুক্তিবাদী ডঃ নরেন্দ্র দাভোলকরের হত্যাকাণ্ডের সাথেও জড়িয়েছিল। পানসারে হত্যা মামলার বেশিরভাগ অভিযুক্ত ২০১৫ সালে কন্নড় লেখক এম এম কালবুর্গীর হত্যা এবং ২০১৭ সালে সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশের হত্যার অভিযোগেও অভিযুক্ত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন