

হিমাচল প্রদেশের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাঁর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। জানা গেছে, গুজরাট থেকে রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নাড্ডা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গুজরাট থেকে রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন নাড্ডা। সে রাজ্যে বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চারটি আসন পায়। অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে নাড্ডার মেয়াদ শেষ হচ্ছে এপ্রিল মাসে। সূত্রের খবর, গুজরাটের রাজ্যসভার সদস্যপদে শপথ নেওয়ার আগেই পূর্বতন পদ ছাড়লেন তিনি।
২০২০ সালের ২০ জানুয়ারী বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত হন জেপি নাড্ডা। তাঁর সভাপতির মেয়াদ রয়েছে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত। তার আগে ২০১৯ সালে বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি ছিলেন তিনি।
জেপি নাড্ডা ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। তার আগে তিনি ১৯৯৩ থেকে ২০০৩ এবং তারপর ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিলাসপুরের বিধায়ক ছিলেন।
সম্প্রতি ২৭ ফেব্রুয়ারী হিমাচল প্রদেশ থেকে রাজ্যসভার একটি আসনে নির্বাচনে ক্রস ভোটিংয়ের মাধ্যমে জিতেছে বিজেপি। সেই রাজ্যের ৬ জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখাচ্ছেন তাঁরা। টালমাটাল অবস্থা কংগ্রেস সরকারের। রাজ্যপালের কাছে গিয়ে আস্থা ভোটের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। আর এই পরিস্থিতিতে সাংসদ পদ থেকে জেপি নাড্ডার ইস্তফা জল্পনা তৈরি করছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন