দিল্লিতে আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করতে আদালতে বিজেপি! নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ আপের

People's Reporter: বিজেপি সাংসদদের অভিযোগ, দিল্লির আপ সরকার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করতে দিচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালফাইল ছবি
Published on

কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করা নিয়ে টানাপোড়েন রাজধানীতে। দিল্লিতে এই প্রকল্প চালু করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি সাংসদরা। পাল্টা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছে দিল্লির আপ সরকার।

দিল্লিতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে আপ এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। দিল্লির বিজেপি সাংসদদের অভিযোগ, দিল্লির আপ সরকার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করতে দিচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করছে। যার কারণে তাঁরা দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন।

আপ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, 'মামলাটি জনস্বার্থ আকারে করা হলেও এটি আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কোনও সাধারণ মানুষ মামলা দায়ের করেননি। করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। যাঁরা এই মুহূর্তে দিল্লিতে বিরোধী দলের আসনে রয়েছেন। নির্বাচনের আগে আমাদের সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এই চক্রান্ত করা হচ্ছে।'

আদালতে আপ সরকার জানায়, কেন্দ্রের প্রকল্পটি চালু করলে দিল্লির মানুষের ক্ষতি হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যবাসীকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য দিল্লি আরোগ্য কোষ প্রকল্প চালু রয়েছে। এই প্রকল্পে সাধারণ মানুষ অধিক উপকৃত হচ্ছেন। কেন্দ্রের প্রকল্পটি রাজধানীর অল্প সংখ্যক মানুষকে সুবিধা দেবে। তাই আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করার প্রয়োজন নেই।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে দেশের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল নাগরিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রের তরফে এই জনস্বাস্থ্য প্রকল্প শুরু করা হয়। এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর বয়স নূন্যতম ১৮ হতে হবে।

উল্লেখ্য, ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিল্লি বিধানসভার ৭০ আসনের ভোটগ্রহণ। ভোটগণনা হবে - ৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার। ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। গত বিধানসভা নির্বাচনে (২০২০) আম আদমি পার্টি জয়ী হয় ৬২ আসনে এবং বিজেপি জয়ী হয় ৮ আসনে। সেবার আপ-এর প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৫৩.৫৭ শতাংশ এবং বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৩৮.৫১ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল
ব্যক্তিগত কৌতূহল নিবৃত্তি RTI-এর লক্ষ্য নয় - মোদীর ডিগ্রি বিতর্কে হাইকোর্টে বলল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল
Madhya Pradesh: ৪ সন্তানের জন্ম দিলেই মিলবে ১ লক্ষ টাকা! ঘোষণা সরকারি ব্রাহ্মণ বোর্ড প্রধানের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in