বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বের জন্য মনোনয়ন জমার পর্ব শেষ হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত বিরোধী মহাজোটের পক্ষ থেকে কোনও আসনরফার ঘোষণা হয়নি। ফলে কিছুটা হলেও ঐক্যবদ্ধ এনডিএ শিবিরের উল্টোদিকে বিরোধীদের ছন্নছাড়া ভাবই ফুটে উঠছে। যার ফলে মনোনয়ন জমার শেষ দিনের পর একাধিক আসনে মহাজোটের শরিক দলের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থেকে গেলেন। যদি কোনও সমঝোতা সূত্র বেরোয় সেক্ষেত্রে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রথম দফায় যে ১২১ আসনের মনোনয়ন জমা গতকাল শেষ হয়েছে তা আজ পরীক্ষা করে দেখা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ অক্টোবর সোমবার। অর্থাৎ নিজেদের ঐক্যবদ্ধ ছবি ফুটিয়ে তোলার জন্য বিরোধীদের হাতে এখনও দু’দিন সময় রয়েছে। দেখার বিষয়, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মহাজোটের আলোচনায় কোনও রফাসূত্র বেরোয় কিনা।
মহাজোটের আসন রফা নিয়ে সবথেকে বেশি বিবাদ এখনও পর্যন্ত দেখা গেছে আরজেডি, কংগ্রেস, সিপিআই এবং ভিআইপি-র মধ্যে। কমপক্ষে ১০ আসনে মহাজোটের শরিকরা নিজেদের বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। কোনও কোনও মহল থেকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’-এর কথা বলা হলেও আদপে সেই লড়াই বন্ধুত্বপূর্ণ থাকবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। বিশেষ করে ভিআইপি-র নাছোড় মনোভাবের পরে আদৌ তাদের দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক মহল।
মনোনয়ন জমার প্রথম পর্বের সমাপ্তির পর দেখা যাচ্ছে ওয়াসলিগঞ্জ (আরজেডি বনাম কংগ্রেস), সিকান্দ্রা (আরজেডি বনাম কংগ্রেস), তারাপুর (আরজেডি বনাম ভিআইপি), বাচওয়ারা (সিপিআই বনাম কংগ্রেস), গোউরা বাউরাম (আরজেডি বনাম ভিআইপি), লালগঞ্জ (আরজেডি বনাম কংগ্রেস), কাহালগাঁও (আরজেডি বনাম কংগ্রেস), রাজাপাকাড (সিপিআই বনাম কংগ্রেস), রোজেরা (সিপিআই বনাম কংগ্রেস), বৈশালী (আরজেডি বনাম কংগ্রেস) কেন্দ্রে মহাজোটের শরিকরা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন।
বিষয়টিকে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলে বলা হলেও এই ঘটনায় বিরোধীদের ঐক্যহীনতাই ফুটে উঠেছে এবং জনমানসে যার বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবার সম্ভাবনাই বেশি। এক্ষেত্রে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হবার আগে যদি পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা মেটানো না যায় সেক্ষেত্রে নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে একাধিক আসন হারাতে হতে পারে মহাজোটকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন