

বিহারে বিধানসভা ভোটের সময় ঘনিয়ে আসতেই ফের বেকার ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করল নীতীশ কুমারের সরকার। এবার থেকে শুধু মাধ্যমিক পাশ নয়, স্নাতক পাশ তরুণ-তরুণীরাও পাবেন আর্থিক সহায়তার সুযোগ। বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন— ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি স্নাতক ডিগ্রিধারী যুবক-যুবতীরা, যাঁরা এখন উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন না, চাকরির খোঁজ করছেন এবং নিজস্ব কোনও আয়ের উৎস নেই, তাঁদের জন্য চালু হচ্ছে মাসে এক হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা। সর্বোচ্চ দু’বছর পর্যন্ত মিলবে এই সুবিধা। তবে সরকার এটিকে সরাসরি ‘বেকার ভাতা’ না বলে দিয়েছে নতুন নাম— ‘মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয় স্বয়ং সহায়তা ভাতা যোজনা’।
নীতীশ কুমারের মতে, এই আর্থিক অনুদান যুব সমাজের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে, প্রশিক্ষণ গ্রহণে এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় সহায়ক হবে। কলা, বিজ্ঞান কিংবা বাণিজ্য— যে কোনও বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন যুবক-যুবতীরাই এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন।
এছাড়া ভোটের আগে রাজ্যে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ঘোষণা করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়েই সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারে গিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। তারও আগে কেন্দ্রীয় সরকার বিহারের রেল উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য ৩,১৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমোদন করে।
এর আগে চলতি বছরের জুন মাসেই বিহার মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেয়, ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রতিজ্ঞা যোজনা’র আওতায় ইন্টার্নশিপে অংশগ্রহণকারী যুবকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী দ্বাদশ উত্তীর্ণদের মাসিক ৪০০০ টাকা, আইটিআই বা ডিপ্লোমাধারীদের ৫০০০ টাকা, আর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশদের জন্য মাসে ৬০০০ টাকা অনুদান ঘোষণা করা হয়েছিল। এছাড়া যারা নিজের জেলার বাইরে ইন্টার্নশিপ করবেন তাঁদের জন্য বাড়তি ২০০০ টাকা এবং অন্য রাজ্যে ইন্টার্নশিপ করলে ৫০০০ টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার নিয়মও করা হয়।
সব মিলিয়ে, নির্বাচনের আগে যুবসমাজকে আকৃষ্ট করতে একের পর এক আর্থিক সহায়তা প্রকল্প চালু করছে নীতীশ কুমারের জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকার। রাজনৈতিক মহলের মতে, বেকার ভাতার পরিধি স্নাতকদের পর্যন্ত বিস্তৃত করার সিদ্ধান্তও সেই ভোট কৌশলেরই অঙ্গ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন