

প্রায় প্রতিদিনই বিহারে এনডিএ জোটের ঘরোয়া বিবাদ সামনে এসে পড়ছে। যাতে বিজেপি এবং জেডিইউ-এর মধ্যে ঠান্ডা লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবারও তেমনই এক ঘটনায় কার্যত মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রী বিজেপির সম্রাট চৌধুরীর বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এলো।
গতকালই নীতিশ কুমার উত্তরপ্রদেশের নতুন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্তব্য করেছিলেন - আমাদের দেশে বা কোনো রাজ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি কার্যকরী হবে না। সাংবাদিকদের নীতিশ জানিয়েছিলেন, আমি সবসময় মহিলাদের শিক্ষার পক্ষে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের এটাই একমাত্র রাস্তা। তিনি আরও বলেন, সচেতনতা না বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের সিদ্ধান্তের ওপর না ছেড়ে দিলে জোর করে কোনো নীতি চাপিয়ে দিতে গেলে তা আমাদের দেশে কার্যকরী হবেনা।
যদিও মঙ্গলবার সম্পূর্ণ উলটো পথে হাঁটলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরী। এদিন তিনি বলেন – রাজ্য সরকার খুব শীগগির এক আইন আনতে চলেছে যেখানে কোনো ব্যক্তির দুই-এর বেশি সন্তান থাকলে তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। তিনি আরও জানান, আমরা রাজ্যে এক আইন আনবো, যে আইন অনুসারে যাঁদের দুই-এর বেশি সন্তান থাকবে তাঁদের কোনোরকম সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবেনা।
সম্রাট চৌধুরীর বক্তব্য অনুসারে বর্তমানে এই নিয়ম শহর পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে বলবত আছে এবং আগামী দিনে এই নিয়ম গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও চালু করা হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা নেবে বলেও তিনি দাবি করেন।
বিজেপি নেতা আরও দাবি করেন, বিহার দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য যেখানে এই নিয়ম জারি হয়েছিলো। এই নিয়ম শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়েছিলো। গ্রামের দিকে যেহেতু শিক্ষার হার কম তাই সেখানেও এই আইন কঠোরভাবে চালু হলে তা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
বিজেপি নেতা ও মন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিং-ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষে সুর চড়িয়েছেন। তাঁর মতে, আমাদের দেশের জনসংখ্যা বিশ্বের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। কিন্তু আমাদের দেশে বিশ্বের মোট জমির মাত্র ২.৫ শতাংশ। এই নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে কোনো ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই, বরং উন্নয়নের সম্পর্ক বলেও তিনি জানান।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন