বিহারের পাটনায় এক বিজেপি নেতার মৃত্যু নিয়ে চাপান উতোরের মাঝেই বিহার পুলিশ জানিয়ে দিল, লাঠিচার্জে ওই বিজেপি নেতার মৃত্যু হয়নি। বিহারের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ (SSP) রাজীব মিশ্র জানিয়েছেন, বিজেপি নেতা বিজয় সিং পুলিশি লাঠিচার্জে মারা যাননি এবং তাঁর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
বিজেপির পক্ষ থেকে দলীয় নেতা বিজয় সিং-এর পুলিশি লাঠিচার্জের কারণে মৃত্যু হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।
বৃহস্পতিবার পাটনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসএসপি রাজীব মিশ্র জানান, ডাক বাংলো চকে দুপুর ১টার সময় লাঠি চার্জের ঘটনা ঘটেছিল। বিজেপি নেতা বিজয় সিং-কে বেলা ১.২২ মিনিটে বিজয় সিং-কে চাজ্জুবাগ অঞ্চল দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।
মিশ্র আরও জানান, দুর্গা অ্যাপার্টমেন্টের অন্য একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে বেলা ১.২৭ মিনিটে বিজয় সিং এবং তাঁর বন্ধু এক রিক্সা করে যাচ্ছেন এবং তারা ১.৩২ মিনিটে তারা হাসপাতালে পৌঁছান। এর অর্থ চাজ্জু বাগ অঞ্চলে বেলা ১.২২ থেকে ১.৩২ মিনিটের মধ্যে কিছু হয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, বিজেপি নেতা বিজয় সিং তাঁর বন্ধু ভারত প্রসাদ চন্দ্রবংশীর সঙ্গে গান্ধী ময়দানে গেছিলেন। যদিও চন্দ্রবংশী জানিয়েছেন, বিজয় সিং ফ্রেজার রোডের ডাকবাংলো মোড়ের দিকে যাননি। তাঁরা গান্ধী ময়দানের দক্ষিণ পশ্চিম দিকের রাস্তা ধরে চাজ্জু বাগ-এ পৌঁছান।
মিশ্র জানিয়েছেন, চাজ্জু বাগের রেজিস্ট্রেশন অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ অনুসারে বিজয় সিং-কে ১.২২ মিনিটে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। এর থেকেই স্পষ্ট জে তিনি ডাক বাংলো চকে লাঠি চার্জের সময় উপস্থিত ছিলেন না।
মিশ্র সাংবাদিকদের জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত বিজয় সিং-এর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য এক মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হবে। শুক্রবার এই রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
বিহার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গান্ধী ময়দানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মিছিল করার কোনও পুলিশি অনুমতি ছিল না। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ডাক বাংলো চকের দিকে মিছিল করা হয়। ওই এলাকায় কোনও পুলিশি ব্যারিকেড ছিল না। মিছিলকারীরা পুলিশের দিকে লঙ্কার গুঁড়ো ছুঁড়েছে। এরপরেই পুলিশ লাঠি চার্জ করে এবং ৫৯ জনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন