BHU: 'গোবরের কেক' তৈরি শিখছে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা, ভিডিও ভাইরাল

নেটিজেনদের কেউ কেউ বলছেন, এই ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রামের মহিলাদের দ্বারা খুব সহজেই দেওয়া যেতে পারে, এই কাজের জন্য উচ্চ বেতনপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের প্রয়োজন নেই।
অধ্যাপক কৌশল মিশ্র ছাত্রদের গোবর কেক তৈরি শেখাচ্ছেন
অধ্যাপক কৌশল মিশ্র ছাত্রদের গোবর কেক তৈরি শেখাচ্ছেনছবি - ট্যুইটার
Published on

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে অবস্থিত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে (BHU) একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে সোশ্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক কৌশল কিশোর মিশ্র ছাত্রদের ‘উপলা’ (গোবর কেক) তৈরি করতে শিখিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে অধ্যাপক কৌশল মিশ্র ছাত্রদের গোবরের কেক তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। ভিডিওতে মিশ্রকে কিছু ছাত্র ঘিরে থাকতে দেখা যায়, যারা গোবরের কেক বানাতে ব্যস্ত ছিল। BHU-র তরফ থেকে পরে টুইট করা হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্রে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ছাত্রদের গোবরের কেক তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।

অধ্যাপক মিশ্র বলেন যে, এই গোবরের কেকগুলি ‘হবন’ ( শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠান), পূজা এবং খাবার তৈরির জন্য জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে গোবর থেকে তৈরি পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানান। তাঁর কথায় – “এটি কৃষকদের আয় বাড়াতে সাহায্য করবে, ছাত্ররা গ্রামে গ্রামে গিয়ে সেখানকার লোকদের গোবরের কেক তৈরির প্রশিক্ষণ দেবে।”

এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই শুরু হয়েছে নেটিজেনদের কটাক্ষ। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন – “বিশ্ববিদ্যালয়গুলি উচ্চতর শিক্ষার জায়গা হওয়া উচিত। ছাত্ররা সেখানে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করতে যায়, কীভাবে গোবরের কেক তৈরি করতে হয় তা শিখতে যায় না।” কেউ কেউ লিখেছেন – “এই ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রামের মহিলাদের দ্বারা খুব সহজেই দেওয়া যেতে পারে, এই কাজের জন্য উচ্চ বেতনপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের প্রয়োজন নেই।”

প্রসঙ্গত, ‘উপলা’ বা গোবরের কেক ঐতিহ্যগতভাবে গ্রামের মহিলারা তৈরি করেন এবং জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেন। বর্তমানে এগুলো ই-কমার্স ওয়েবসাইটেও বিক্রি হচ্ছে।

অধ্যাপক কৌশল মিশ্র ছাত্রদের গোবর কেক তৈরি শেখাচ্ছেন
উপকারিতা বোঝাতে ক্যামেরার সামনে গোবর খেলেন হরিয়ানার ডাক্তার, ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in