Elgar Parishad Case: ২০১৮ থেকে জেলবন্দি - দুই অভিযুক্তকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট

জামিনের নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে শুধুমাত্র এই কারণে দুই অভিযুক্তকে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারের অপেক্ষায় রাখা যাবে না।
সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট ফাইল ছবি সংগৃহীত

ভীমা কোরেগাঁও মামলায় দুই অভিযুক্ত ভার্নন গনসালভেস এবং অরুণ ফেরেরার জামিন মঞ্জুর করলো সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই দু’জনের জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। এঁরা ২০১৮ সালের আগস্ট মাস থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন।

বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ তাঁদের মাওবাদী সংযোগের জন্য ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) (UAPA) আইনের অধীনে করা মামলায় দু’জনকে জামিন দিয়েছে।

জামিনের নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে শুধুমাত্র এই কারণে দুই অভিযুক্তকে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারের অপেক্ষায় রাখা যাবে না।

আদেশ ঘোষণার সময় বেঞ্চ জানিয়েছে, “প্রায় পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে, আমরা সন্তুষ্ট যে তারা জামিন মঞ্জুর করার জন্য একটি মামলা করেছে। অভিযোগগুলি গুরুতর, সন্দেহ নেই, তবে শুধুমাত্র সেই কারণেই জামিনের আবেদন খারিজ করা যায় না।"

আদালত আদেশ দিয়েছে যে দুই অভিযুক্ত ট্রায়াল কোর্টের অনুমতি ছাড়া জামিনে থাকা অবস্থায় মহারাষ্ট্র রাজ্য ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারবেন না।

এই শর্ত ছাড়াও শীর্ষ আদালত জামিন মঞ্জুর করার জন্য আরও কিছু শর্ত আরোপ করেছে। যার মধ্যে আছে NIA-এর কাছে পাসপোর্ট আত্মসমর্পণ, আইও-র কে নিজেদের অবস্থান জানানো এবং সপ্তাহে একবার NIA-তে রিপোর্ট করা।

সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়েছে জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করা হলে, জামিন বাতিলের জন্য আবেদন করা যেতে পারে।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে, বম্বে হাইকোর্ট আইনজীবী-কর্মী সুধা ভরদ্বাজকে ডিফল্ট জামিন দিয়েছিল। যদিও, বিচারপতি এসএস শিন্ডে এবং এনজে জমাদারের ডিভিশন বেঞ্চ একই মামলায় ডাঃ পি. ভারাভারা রাও, সুধীর ধাওয়ালে, রোনা উইলসন, অ্যাডভোকেট সুরেন্দ্র গাদলিং, অধ্যাপক সোমা সেন, মহেশ রাউত, অরুণ ফেরেইরা এবং ভার্নন গনসালভেস সহ এই মামলাতেই আরও আটজন সহ-অভিযুক্তের জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।

২০২২ সালের আগস্টে, সুপ্রিম কোর্ট, গনসালভেসের জামিনের আবেদনের শুনানি করার সময়, NIA-কে জানায় যে মামলায় গ্রেফতারকৃত ১৫ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিচার আলাদা করতে বিশেষ আদালতে যেতে হবে। যারা এখনও নিখোঁজ রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে যাতে আলাদা বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।

২০১৮ সালের জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে চাঞ্চল্যকর এই মামলা পুনে পুলিশের হাত থেকে NIA হাতে নেয়।

পুলিশের অভিযোগ, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর, মহারাষ্ট্রের পুনেতে এলগার পরিষদ কনক্লেভে উসকানিমূলক বক্তৃতা ও এই অনুষ্ঠানে অর্থ সাহায্য করেছিলেন অভিযুক্তেরা। অভিযুক্তরা নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের সাথে যুক্ত। তাঁদের ল্যাপটপ থেকে সেই প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি পুলিশের।

পুলিশের আরও অভিযোগ, পুনের এলগার পরিষদ কনক্লেভে উসকানিমূলক বক্তৃতাগুলির জেরেই ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের ২০০তম বার্ষিকীতে (২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি) হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। অন্যদিকে, একাধিক বেসরকারি ফরেনসিক সংস্থা দাবি করেছে, পরিকল্পিত ভাবে ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে ভুয়ো তথ্যপ্রমাণ ঢোকানো হয়েছিল এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্তদের ল্যাপটপে।

সুপ্রিম কোর্ট
স্ট‍্যান স্বামীর কম্পিউটারে ভুয়ো নথি ঢুকিয়েছিল হ্যাকাররা, বিস্ফোরক তথ্য মার্কিন রিপোর্টে
সুপ্রিম কোর্ট
Elgar Parishad Case: বোম্বে হাইকোর্টে 'জামিন' পেলেন সমাজকর্মী আনন্দ তেলতুম্বে!

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in