
শনিবার (২৩ জুলাই) হালকা বৃষ্টিতে ভিজছে কলকাতা সহ অন্যান্য জেলা। মাসের হিসেব আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণে পড়েছে ঠিকই। তবে এ রাজ্যে বৃষ্টিপাতে ঘাটতি ঘটেছে। অন্যদিকে মাত্রাছাড়া বৃষ্টি পশ্চিম ও মধ্য ভারতের অধিকাংশ অংশে। দেশের মধ্য ও পূর্ব অংশে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। যদিও রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
সূত্রের খবর, মধ্য পাকিস্তান থেকে ওড়িশা অবধি গাঙ্গেয় উপত্যকা অঞ্চলে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। তবে এই বছরে গাঙ্গেয় উপত্যকা অবস্থিত রাজ্যগুলিতে বৃষ্টিপাতের প্রায় ৫০ শতাংশ ঘাটতি দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড রাজ্যগুলি। অন্যদিকে আবার মধ্য ভারতে লাগাতার বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন মাসেও বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ছিল। যার পরিমাণ ছিল ৮ শতাংশ। জুলাই মাসে এখনও অবধি ১০ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ঠিকই তবে তা কৃষিক্ষেত্রে ফলন বাড়ানোর জন্য অপর্যাপ্ত। পশ্চিমবঙ্গে এ বছরের বৃষ্টিপাতের ঘাটতি প্রায় ৫০ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে সেই পরিমাণ ৫১, বিহারে ৪৫ ও উত্তরপ্রদেশে ৬১ শতাংশ বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে।
অন্যদিকে, তেলঙ্গানায় চলতি মরশুমে ১১১ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। গুজরাটের সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছে ৭৯ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। মহারাষ্ট্রের বিদর্ভেও ৪৮ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশের একপ্রান্তে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, অন্যদিকে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি। আবহাওয়ার এরূপ খামখেয়ালিপনা সম্পর্কে, মনসুন বিভাগের বিজ্ঞানী ডঃ আর.কে জেনামানি বলেন, “সামুদ্রিক আবহাওয়া, বাতাসের অবস্থা ও গতিবেগ, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, মেঘের পরিমাণ সহ একাধিক বিষয়ের উপর নির্ভর করেই বৃষ্টিপাত হয়। ফলে, সাধারণভাবে দেশের দক্ষিণ দিয়েই মৌসুমিবায়ু প্রবেশ করে এবং বর্ষা শুরু হয়। এরফলে দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। তবে এবছর উত্তর থেকে বাতাস প্রবেশ করে বর্ষার অনুকূল পরিস্থিতিকে নষ্ট করেছে। যার জেরে হিমালয়ের পাদদেশে অতিভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন