

দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা। ইডি এবং সিবিআই দুই সংস্থার মামলা থেকেই জামিন পেলেন কেসিআর-কন্যা। পাশাপাশি তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে দেশের শীর্ষ আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। শুনানি চলাকালীন ইডি এবং সিবিআই-র আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এই তদন্তে কে কবিতার বিরুদ্ধে আদৌ কোনও সঠিক প্রমাণ পাওয়া গেছে কিনা। উত্তরে সলিসিটর জেনারেল জানান, কবিতা তাঁর মোবাইল ফরম্যাট করে সমস্ত তথ্য প্রমাণ নষ্ট করেছেন। সেগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
যদিও কে কবিতার আইনজীবীর দাবি, ইডি এবং সিবিআই-র পক্ষ থেকে যে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তদন্তের নামে শুধুমাত্র হেনস্থা করা হচ্ছে। তাই হেফাজতে থাকার কোনও মানেই হয় না। তদন্তের প্রয়োজনে সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত তাঁর মক্কেল। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ারও কোনও উদ্দেশ্যে কে কবিতার নেই। হেফাজতের বাইরে রেখেও তদন্ত করা যায়।
সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কেন্দ্রীয় সংস্থা যেহেতু এখনও কোনও তথ্য প্রমাণ পেশ করতে পারেনি তাই কে কবিতার হেফাজতে থাকার প্রয়োজন নেই। মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের বিষয়টি উল্লেখ করেন দুই বিচারপতির বেঞ্চ। সেই নির্দেশ অনুসরণ করেই তেলাঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের মেয়ে কে কবিতাকেও জামিনে মুক্ত করা হল।
গত ১৫ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কে কবিতা। ইডির দাবি, ওই দুর্নীতি মামলাতেই গ্রেফতার হওয়া ব্যবসায়ী অমিত আরোরার থেকে কে কবিতার কথা জানতে পারে তারা। তদন্তে নেমে দেখা যায় কবিতা এই দুর্নীতির সাথে যুক্ত। ইডি আরও দাবি করে, বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করার জন্য আপকে ১০০ কোটি টাকা প্রদান করেছিলেন কে কবিতা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন