

দেশজুড়ে 'ল্যান্ড জেহাদ' নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে সেকথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এরপরেই এনিয়ে কাজ শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির। বিজেপি শাসিত রাজ্য আসাম নির্দেশিকা জারি করে দিল, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আর ভিনধর্মে জমি বিক্রি করা যাবে না।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, “আসামের মতো সংবেদনশীল রাজ্যে জমির হস্তান্তরের বিষয়টিতে তীক্ষ্ণ নজর রাখা উচিত।” তিনি জানিয়েছেন, সেরাজ্যের কোনও বাসিন্দা যদি ভিনধর্মের কোনও ব্যক্তির কাছে জমি বিক্রয় করেন সেক্ষেত্রে আগে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। এরপর গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে সরকার। জমি ক্রেতার রোজগারের উৎস খতিয়ে দেখা হবে। এমনকি জমি বিক্রির ফলে এলাকার সামাজিক সংহতি বজায় থাকছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখবে সরকার।
সরকারের তরফে দেওয়া নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, এই ধরনের হস্তান্তরের ক্ষেত্রে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবে স্থানীয় পুলিশ। এরপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন জেলাশাসক বা জেলাস্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ। এমনকি এই ধরনের হস্তান্তরের ক্ষেত্রে জনবিন্যাসে কী প্রভাব ফেলছে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। দেখা হবে জাতীয় নিরাপত্তার দিকও। এরপরেই মিলবে অনুমতি।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা একাধিকবার বলেছেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। একাধিকবার তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, বেআইনি অনুপ্রবেশকারীরা আসামের বাসিন্দাদের জমি কিনে বা জবরদখল করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে। যা রুখতে এবার এই নয়া পদক্ষেপ করল আসাম সরকার।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন