দিল্লি সফরের সূচিতে ছিল শুধু বিচারপতিদের সম্মেলনে যোগ দেওয়া। সেটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছিলেন। শুক্রবার দুপুরে তিনি রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারপর দিল্লিত তৃণমূল কার্যালয়ে খবর আসে যে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। দুই মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ রাষ্ট্রপতি ভোটকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের একজোট হওয়ার জল্পনা উসকে দিয়েছে।
অতীতে রাজধানী এলেই ১৮৩ সাউথ অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে মমতার কাছে আসতেন কেজরি। ইদানীং তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে আম আদমি পার্টির। এ রাজ্যে আলাদা দল হিসেবেই নিজেদের কার্যপ্রক্রিয়া শুরু করেছে আপ। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ও আপ একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল।
প্রায় আধ ঘণ্টা ছিলেন কেজরি। সৌজন্যের ফুল বিনিময়ের পর একান্তে কথা হয়। যদিও আলোচনার বিষয় নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। যেহেতু রাষ্ট্রপতি ভোটকে সামনে রেখে বিরোধীদের একজোট হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, সেই প্রেক্ষিতে এই বৈঠক বাড়তি মাত্রা যোগ করে। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে বরাবর মমতার নেতৃত্বকেই গুরুত্ব দিয়েছেন কেজরি। এই দুই মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপিও।
এদিকে আজ নরেন্দ্র মোদীর মুখোমুখি হবেন মমতা। যদিও একান্তে কথা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। বিজ্ঞানভবনে বিচারপতিদের সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, সভাপতিত্ব করবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সব হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। সম্মেলনে কোনও মুখ্যমন্ত্রীই বক্তা নন। তবে বিচারব্যবস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বলে গুরুত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে কলকাতা থেকে গিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।