

বিজেপিকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুললো কংগ্রেস। বিজেপির নেতারা রাহুল গান্ধীর একটি ভিডিওকে বিকৃত করেছেন। এমনটাই অভিযোগ কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশের। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে এই মর্মে একটি কড়া চিঠিও লেখেন তিনি।
চিঠিতে জয়রাম রমেশ লেখেন, 'আমি আশা করি আপনার কর্মীদের এমন বেপরোয়া কাজের জন্য আপনি অবিলম্বে ক্ষমা চাইবেন। তাঁরা শুধু ঘৃণ্য কাজই করেননি, পাশাপাশি জনগণের কাছে আসল সত্যি লুকিয়েছেন।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি অবাক হয়েছি আপনার দলের বেশ কয়েকজন সহকর্মীর কাজ দেখে। তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে ও উৎসাহের সাথে নিউজ চ্যানেলে ঘটে যাওয়া একটি বিভ্রান্তিকর ভিডিও শেয়ার করছেন। সংবাদমাধ্যমে যেটি সম্প্রচারিত হয় ১ জুলাই রাত ৯ টায়। রাহুল গান্ধীর ওই ভিডিওটি ছিল তাঁর ওয়াইনাড অফিসে এসএফআই কর্মীদের হামলা প্রসঙ্গে। কিন্তু সেটিকে বিকৃত করে এমন দেখানো হয়েছে যাতে মনে হচ্ছে তিনি উদয়পুরে কানহাইয়া লালের জঘন্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করেছেন।'
রমেশ চিঠিতে আরও লেখেন, 'কংগ্রেসের দাবি এই ভিডিও-র সত্যতা সামনে আনা হোক। প্রতিবেদনটি যে মিথ্যা এবং ইচ্ছা করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য ছড়ানো হয়েছে তা সবাই জানুক। তার থেকেও বেশি উদ্বেগের কারণ, এমপি রাজ্যবর্ধন রাঠোর, এমপি সুব্রত পাঠক এবং বিধায়ক কমলেশ সাইনি সহ একাধিক নেতারা ভিডিওর সত্যতা যাচাই না করেই তা শেয়ার করেছেন।'
জয়রাম বলেন, আমরা আশা করি আপনি ও আপনার দলের সহকর্মীরা মিথ্যা প্রচার করা থেকে বিরত থাকবেন।
চিঠির শেষে তিনি লেখেন, 'যদি আজকের মধ্যে ক্ষমা না চাওয়া হয় তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কংগ্রেস। এছাড়াও যাঁরা এই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে বিকৃত ভিডিও শেয়ার করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন