

কেরালায় সরকারি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) গান গাওয়ানো হল স্কুলপড়ুয়ারাদের দিয়ে। এমনটাই অভিযোগ কেরালা সরকারের। পড়ুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলেও সরব হয়েছেন কেরালার বাম সরকারের মন্ত্রীরা। ঘটনার তদন্ত হবে বলেও সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
গত ৮ নভেম্বর কোচিতে এর্নাকুলাম-বেঙ্গালুরু বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্কুল পড়ুয়াদের দেখা গেল আরএসএস-র গান গাইতে। যা নিয়ে কেরালার রাজ্যরাজনীতিতে তুঙ্গে বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বিষয়টি নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, "এর্নাকুলাম-বেঙ্গালুরু বন্দেভারত ট্রেনের উদ্বোধনে দক্ষিণ রেলের অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের দিয়ে আরএসএস-এর গান গাওয়ানোয় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই গানটি এমন এক সংগঠনের, যারা ধর্মের নামে ঘৃণার চাষ করে এবং বিভাজনের রাজনীতি করে। সরকারি অনুষ্ঠানে এমন সংগঠনের গানকে অন্তর্ভুক্ত করা সংবিধান ও ধর্মনিরপেক্ষতার চরম অবমাননা"।
কেরালার সাধারণ শিক্ষামন্ত্রী ভি শিবানকুট্টি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, সরকারি অনুষ্ঠানে কোনও নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক এজেন্ডা প্রচারের জন্য শিশুদের ব্যবহার করা অসাংবিধানিক। রাজ্য সরকার দেশের ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তদন্তে সরকারি অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জড়িত করার ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি ছিল কিনা তা পরীক্ষা করা হবে।
কেরালার দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ গোপী এবং জর্জু কুরিয়ান অবশ্য পড়ুয়াদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের মতে এই গানে কোনও সাম্প্রদায়িকতা নেই। তাঁরা বলেন, গানের প্রথম লাইনে পবিত্র নদী, গাছ এবং বাগানের কথা বলা হয়েছে। তারপরে মাতৃভূমিকে ফুল দেওয়া হয়েছে। বুঝতে পারছি না কীভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে এর সাথে যুক্ত করা যেতে পারে। গানটিতে ঝাঁসির রানী, ভগত সিং, শ্রী নারায়ণ গুরু এবং স্বামী রামদাসেরও উল্লেখ রয়েছে। এতে হিন্দুধর্মের কোনও উল্লেখ নেই।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন