
ভিন রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের ভুয়ো ভিডিও (Fake Video) শেয়ার করার অভিযোগ উঠলো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি সাংসদ তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, মমতা ব্যানার্জি বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক ভিডিও শেয়ার করছেন।
গত ২৭ জুলাই মমতা ব্যানার্জি নিজের এক্স মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে এক ব্যক্তি তাঁর সন্তান ও স্ত্রী-র উপর অত্যাচারের অভিযোগ করছেন (ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)। মমতা ব্যানার্জি লেখেন, "সাংঘাতিক সন্ত্রাস!! দেখুন, দিল্লি পুলিশ মালদার চাঁচলের এক পরিযায়ী পরিবারের এক শিশু ও মা-কে কি নিষ্ঠুরভাবে মেরেছে! দেখুন, বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিজেপির ভাষা সন্ত্রাসে একটি শিশুরও পরিত্রাণ নেই! দেশকে এরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?"
এই ভিডিও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সৌমেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “দিল্লি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার এবং জনসাধারণের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে নিজের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলের মাধ্যমে মিথ্যা, ভুয়ো খবর প্রচার করছেন মমতা ব্যানার্জি”।
দিল্লি পুলিশও মমতা ব্যানার্জির অভিযোগকে "সম্পূর্ণ ভুয়ো" বলে উড়িয়ে দিয়েছে। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক ধনিয়া জানান, অভিযুক্ত সঞ্জানু পারভীন নামের মহিলা অভিযোগ করেন, শনিবার চারজন সাদা পোশাকের পুলিশ তাঁদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়, মারধর করে এবং ২৫,০০০ টাকা আদায় করে। তদন্তে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ, প্রযুক্তিগত তথ্য ও স্থানীয় তদন্তের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে, মহিলার বর্ণিত ঘটনায় কোনও সত্যতা নেই। তারই এক আত্মীয়, যিনি পশ্চিমবঙ্গের মালদার বাসিন্দা এবং একজন রাজনৈতিক কর্মী, তার অনুরোধে ওই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন”।
যদিও এই নিয়ে পাল্টা দিল্লি পুলিশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। মঙ্গলবার বীরভূমের ইলামবাজারের এক সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘আমি কাল ওই বাচ্চাটির কথা বলেছিলাম। একটার পর একটা থানায় ওঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কালকেই মিটিং-এ বলেছিলাম, রেকর্ড চেক করুন, বলেছিলাম, ওঁদের থ্রেট করা হবে। সেটাই হয়েছে। আমরা চাইব, তাঁরা যাতে ফিরে আসেন। আর কে সত্যি, কে মিথ্যা তা প্রমাণ হয়ে যাবে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন