
গুজরাটের আমেদাবাদে আছড়ে পড়া এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের (Ahmedabad Plane Crash) জ্বালানির সুইচ 'কাট অফ' (CUTOFF) হল কীভাবে? দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর আলোচনা। এই দুর্ঘটনার দায় কার? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। তবে এখনই এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে নারাজ কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও সহযোগিতা প্রতিমন্ত্রী মুরলীধর মোহন। এর জন্য পোক্ত প্রমাণ দরকার বলে মনে করেন তিনি। এমনকি বিমান মন্ত্রণালয় এএআইবি তদন্তে হস্তক্ষেপ করছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিমান দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা ‘এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ (এএআইবি) শনিবার তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে বিমানের জ্বালানির সুইচ বন্ধ করা নিয়ে দুই পাইলটের কথোপকথনের উল্লেখ রয়েছে। জানা গেছে, আচমকা জ্বালানির সুইচ বন্ধ হয়ে গেলে এক পাইলট অপরকে প্রশ্ন করেন, ‘‘কেন তুমি বন্ধ করে দিলে (জ্বালানি)?" অন্য জন উত্তর দেন, ‘‘আমি করিনি।’’
এএআইবি-র ওই রিপোর্ট প্রসঙ্গে শনিবার মুরলীধর মোহন বলেছেন, "এটা তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট, চূড়ান্ত নয়। সমস্ত তথ্য জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। এখনও এটা তদন্তের আওতাধীন, তাই এখন কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত আমি সকলকে কোনও সিদ্ধান্তে না পৌঁছানোর জন্য অনুরোধ করছি"।
তিনি আরও বলেন, "দুর্ঘটনার এক দিনে পরেও ব্ল্যাকবক্সটি সুরক্ষিত ছিল। সেকারণে এটা অন্য কোথাও পাঠানোর প্রয়োজন হয়নি। এটি ডিকোড করা হয় এবং ভারতেই তথ্য উদ্ধার করা হয়। আগে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা হলেও, তার ব্ল্যাকবক্স দেশের বাইরে পাঠানো হত তদন্তের জন্য"।
রিপোর্টে দুই পাইলটের যে কথোপকথনের উল্লেখ রয়েছে, সে প্রসঙ্গে এদিন মন্ত্রী বলেন, “কথোপকথনটি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য এটি ব্যবহার করা যাবে না। কী ঘটেছিল, পরিস্থিতি কী ছিল এবং কারণগুলি কী ছিল - চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পরে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে উঠবে"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন