কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিরোধিতায় তুমুল বিক্ষোভ ওড়িশায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিরুদ্ধে কটক শহরে রাস্তা অবরোধ করেছে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ আসরে নামলে, তাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিক্ষোভকারীদের।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘কেন্দ্রের নতুন প্রকল্প বাতিল, চাকরীর বয়সের সময়সীমা বাড়ানো, সেনবাহিনীতে নিয়োগের জন্য অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা (CEE)-র দাবীতে চাকরী প্রার্থীরা কটকের ক্যান্টনমেন্ট রোডে সেনাবাহিনীর নিয়োগ অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।’
জানা গেছে, রাস্তায় নেমে বিক্ষোভকারীরা হোর্ডিং ছেঁড়ার পাশাপাশি পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দিয়েছে। রিং রোড অবরোধ করে যানজট তৈরি করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে তাঁদের। এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।
কটকের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ পিনাক মিশ্র জানান, ‘সেনা অফিসের সামনে অভিযোগ জানাতে এক হাজারের বেশি যুবক জড়ো হয়েছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তবে, পুলিশ তৎক্ষণাৎ নিয়ে আসরে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’
তিনি জানান, ‘আমরা কয়েকজন ছাত্র-যুবককে আটক করেছি। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের আমরা ছেড়ে দেব।’ একইসঙ্গে ডেপুটি কমিশনার বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে এক যুবক বলেন, ইতিমধ্যেই তারা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে শারীরিক ফিটনেস এবং মেডিকেল পরীক্ষায় পাশ করেছে। তবে, ফাইনাল লিখিত পরীক্ষার দিনক্ষণ একাধিকবার ঘোষণা করা হলেও, তা অনুষ্ঠিত হয়নি।
তারপরে আবার ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে ওই যুবক প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য আমরা ইতিমধ্যেই কেরিয়ারের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর কাটিয়েছি। এখন আমাদের কোথায় যাওয়া উচিত?’
আর এক চাকরীপ্রার্থী ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘একজন রাজনীতিবিদ বিধায়ক বা সাংসদ হওয়ার পর পেনশন পাওয়ার অধিকারী হন। সেখানে আমারা যদি মাতৃভূমির সেবার জন্যে সেনাবাহিনীতে যোগদান করি এবং নিজেদের জীবন উৎসর্গ করি, তাহলে আমরা কেন সেই সুযোগ পাবো না?’
গত ১৪ জুন, মঙ্গলবার, চার বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক সেনাবাহিনী (স্থল, জল এবং বায়ু- তিন বিভাগেই) নিয়োগের কথা জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং। যেখানে গ্র্যাচুইটি এবং পেনশন সুবিধা ছাড়াই বেশিরভাগ সেনাকে বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।