উপনির্বাচনের আগেই বড়সড় ধাক্কা তৃণমূলে। বিজেপির পর এবার তৃণমূল থেকেও সরে দাঁড়ালেন আশিস দাস। গেরুয়া শিবির থেকে বেরিয়েই মাথা কামিয়ে সোজা গিয়েছিলেন আদিগঙ্গা। লক্ষ্য ছিল তৃণমূলে যোগদান। এরপর গতবছর দুর্গাপুজোর সময় তৃণমূলে যোগ দেন আশিস। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তৃণমূল ছাড়তে হল তাঁকে। ঠিক কী কারণে দল ছাড়লেন আশিস?
আশিসের অভিযোগ, তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভরে গেছে। কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির ভোট ভাগ করে বিজেপিকেই সুবিধা করে দিচ্ছে তারা। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে আশিস জানান, "তৃণমূলে আমার আশাভঙ্গ হয়েছে। যে উৎসাহ নিয়ে আমি তৃণমূলে এসেছিলাম, সেটা হারিয়ে ফেলেছি। তৃণমূলে (TMC) দলবাজি বেশি। দলে আমাকে কোণঠাসা করে রাখা হচ্ছে। এখানে কাজের পরিসর নেই।"
আশিসের বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করে ত্রিপুরার তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক বলেন, "আমি তাকে নিয়ে খারাপ কথা বলতে চাই না। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলে যোগ দেওয়ার পরও তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো অনুষ্ঠানে বা দলীয় কার্যে দেখা যায়নি। তিনি যখন তৃণমূলের একজন হিসাবে কাজ করছেন না, তখন তিনি কীভাবে, কেনই বা দল ছাড়বেন?"
আশিসের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ জনবিচ্ছিন্নতার অভিযোগ তুলে সুবল বাবু বলেন, "যারা তিন বছর নিজের নির্বাচনী এলাকায় যান না, তাদের সম্পর্কে কী বলবো জানি না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ সম্পর্কে খারাপ কথা বলার পরে তো আর কিছু বলারই থাকে না।" সূত্রের খবর, আশীষের দলত্যাগের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরার সুরমাতে উপনির্বাচন। তার আগেই আশিসের দাসের দলত্যাগ কতটা প্রভাব ফেলবে তৃণমূলের অন্দরে? তা সময়ই বলবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।