
ফের কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন জাতীয় কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়্গে। শনিবার উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির কংগ্রেস নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক শেষে টুইটারে খাড়গে জানিয়েছেন, “আমাদের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির জন্য মোদী সরকারের ‘Act East’ নীতি বর্তমানে ‘Act Least’ নীতিতে পরিণত হয়েছে। ভারত আজ বিজেপির বিভাজন আর বৈষম্যের নোংরা রাজনীতি চাক্ষুস করছে।”
এদিনের টুইটের মাধ্যমে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বিজেপিকে আক্রমণের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের কংগ্রেস নেতৃত্বদের আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে ঐক্যের বার্তাও দিয়েছেন।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিয়ে শনিবার উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, ত্রিপুরা, সিকিমের কংগ্রেস নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে। এদিনের বৈঠকে মিজোরামের কং নেতাদের ডাকা হয়নি, কারণ গত ৬ জুলাই কং সভাপতি খাড়গে, প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কে.সি ভেনুগোপালের সঙ্গে মিজোরামের নেতারা সাক্ষাৎ করেছেন।
এদিনের বৈঠকে খাড়্গে বারবার উত্তপ্ত মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনার কথা উল্লেখ করেন। বৈঠক শেষে টুইট করে তিনি বলেছেন, “এই সরকারের আমলে সম্প্রদায়গুলি একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে, বাক-স্বাধীনতা বারবার আক্রান্ত হচ্ছে, মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।”
তিনি আরও বলেন, “কংগ্রেস সরকারের প্রতিষ্ঠিত এতদিনের স্থায়ী শান্তি ও অগ্রগতির শক্ত ভিতকে বিজেপি সরকার ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দিচ্ছে। উত্তর-পূর্ব ভারতে এতদিন ধরে কংগ্রেস যেসব প্রকল্প করেছে, বিজেপি এখন বসে বসে সেগুলির কৃতিত্ব নিচ্ছে।” এরপরেই উত্তর-পূর্ব ভারতের কংগ্রেস নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কর্মী-সমর্থকদেরও একসঙ্গে সরব হওয়ার বার্তা দিয়েছেন খাড়গে। তিনি জানিয়েছেন, “এটাই সঠিক সময়, কংগ্রেস দলের প্রত্যেক নেতা ও কর্মীদের এক হতে হবে। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য শুধুমাত্র আমাদের প্রতীক নয়, আমাদের অস্তিত্বের ভিত্তিও বটে।”
রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার আরও বক্তব্য, “এবার মাঠে নেমে পড়ার সময় হয়ে এসেছে। একেবারে বুথ পর্যায় থেকে শুরু করে আমাদের মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে হবে এবং উত্তর-পূর্বে আমাদের সহ-নাগরিকদের আওয়াজকে আরও শক্তিশালী করে তুলে ধরতে হবে।”
দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে দীর্ঘদিন ধরে উত্তপ্ত মণিপুরের কথা টেনে তিনি টুইটে লিখেছেন, “মণিপুরের অশান্ত পরিস্থিতিকে শান্ত করাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। সীমান্তবর্তী ওই রাজ্যের সমস্যা মিটিয়ে সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সবকিছু করতে রাজি আছি।”