

রাজ্য নির্বাচন কমিশন দ্বারা আসামের নির্বাচনী এলাকার পুনর্নির্ধারণের খসড়া রিপোর্টের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনে অংশগ্রহণের অভিযোগে আসামের বাজালি জেলার ভবানীপুর আঞ্চলিক কলেজের অধ্যক্ষ মুকুন্দ শর্মাকে বরখাস্ত করল রাজ্যের শিক্ষা দফতর।
রাজ্য সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বাজালি জেলার ভবানীপুর এলাকায় এই নিয়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখানো হয়েছে। ওই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্যই আসামের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে মুকুন্দ শর্মাকে শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আসামের নির্বাচনী এলাকার সীমাবদ্ধতা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন নতুন খসড়া তৈরি করেছে। সেই খসড়া অনুযায়ী, নতুন ভবানীপুর বিধানসভা অঞ্চল থেকে বেশ কয়েকটি পুরনো এলাকা বাদ দিয়ে নতুন কিছু এলাকা যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলার নাম পরিবর্তনের এক প্রস্তাবকে সমর্থন করে রাজ্য সরকার ভবানীপুর বিধানসভার নাম পরিবর্তন করে বারনগর রাখার সুপারিশ করেছে।
আসামের শিক্ষামন্ত্রী রনোজ পেগু জানিয়েছেন, সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনও সরকারি কর্মচারীর প্রতিবাদ দেখানোর অধিকার নেই। তাঁর বক্তব্য, “নির্বাচনী এলাকার পুনর্নির্ধারণের খসড়াটি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে তৈরি হলেও এটি একটি সাংবিধানিক পদক্ষেপ। কোনও সরকারি কর্মচারী এর বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে বা প্রতিবাদ দেখাতে পারেন না।”
আসামের নলবাড়ি জেলার বাসিন্দা মুকুন্দ শর্মা সাধারণত একজন দায়িত্ববান প্রশাসক হিসেবেই পরিচিত। গত ৫ বছর ধরে তিনি ভবানীপুর আঞ্চলিক কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলেছেন। এমনকি তিনি বেশ কয়েকটি বইও লিখেছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন