
প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়। বহাল রাখা হল হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় মেনেই নিয়োগ হবে প্রাথমিকে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১১,৭৫৮ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় পর্ষদ। সেই সময় পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, যাঁরা চলতি শিক্ষাবর্ষে ডিএলএডের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁরাও সে বছর নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই সময় মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
এই মামলায় হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ পর্ষদের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিয়ে রায় ঘোষণা করে। সিঙ্গেল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, ২০২০-২২ সালের কোর্স শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের জুন মাসে, আর সেটা সম্পূর্ণ হবে ২০২২ সালের জুন মাসে। অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারির আগে সকলের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে। তাই প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন।
কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই রায় খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। গত বছর এপ্রিল মাসে এই মামলার রায় ঘোষণা করে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদ (এনসিটিই) -এর নিয়মানুযায়ী, শিক্ষক হতে গেলে নূন্যতম প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে এনসিটিই –এর নিয়ম মানা হচ্ছে না। কারণ জুন মাসে পরীক্ষা শেষ হলেও, শংসাপত্র দেওয়া হবে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে। আর শংসাপত্র ছাড়া যোগ্য বলে মানা হবে না।
এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন নতুন করে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পর্ষদ। যেখানে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণরতদের সুযোগ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। এরপরেই ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রশিক্ষণরতদের একাংশ। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে গেল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন