SSC Scam: যোগ্য-অযোগ্য বাছাই সংক্রান্ত অভিজিৎ গাঙ্গুলির প্রস্তাব অবাস্তব! দাবি বিকাশরঞ্জনের

People's Reporter: শুক্রবার বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি কমিটি তৈরি করে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের বাছাইয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য
Published on

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে। এরপর শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একটি কমিটি গঠন করে যোগ্য ও অযোগ্যদের বাছাই করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সাংসদের সেই প্রস্তাব অবাস্তব বললেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, “এই প্রস্তাব অবাস্তব শুধু নয়, এটা বেআইনি, যা আদালত অবমাননার সমান”।

শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর শুক্রবার বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি কমিটি তৈরি করে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের বাছাইয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সাংসদ প্রস্তাব দেন এই কমিটির চেয়ারম্যাব হবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কমিটিতে থাকবেন অ্যাডভোকেট জেনারেল, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, বিক্রম ব্যানার্জী, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, এসএসসির চেয়ারম্যান, এসএসসির আইনজীবী। এই কমিটিতে তিনি নিজেও থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, এই কমিটি যোগ্য ও অযোগ্যদের বাছাই করতে পারবে।

সাংসদের এই প্রস্তাব অবাস্তব বলে জানিয়েছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এই কমিটি গঠনের প্রস্তাব অবাস্তব। শীর্ষ আদালতে শুনানির সময় এই যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থী বাছাই নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুরো প্যানেল বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগের তথ্য প্রমাণ লোপাটের কথা জানিয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, প্রার্থী বাছাই করতে যে নথির প্রয়োজন তা এসএসসির কাছে নেই। ওএমআর শিটের স্ক্যান কপিও রাখেনি এসএসসি। এই অবস্থায় যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের বাছাইয়ের জন্য কমিটি তৈরি করা শুধু অবাস্তব নয়, এটা একটা বেআইনি পদক্ষেপ”।

বিকাশরঞ্জন আরও বলেন, “কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত যে বিষয়ের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিল, তা হল যোগ্য-অযোগ্য বাছাই। আদালতে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ অযোগ্যদের যে তালিকা দিয়েছিল, তা এসএসসির সঙ্গে মেলেনি। এমনকি সিবিআই তদন্ত করে যে সংখ্যা দিয়েছে, তার সঙ্গেও এসএসসির সংখ্যা মেলেনি। এই সমস্ত কিছু হয়েছে মুদিখানার দোকানের মতো। কারণ প্রকৃত উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট একবছরের মধ্যে নষ্ট করে ফেলা হয়েছিল। সেই ওএমআর শিটের কোনও স্ক্যান কপিও রাখা হয় নি”।

কিন্তু কেন? তার উত্তরে বিকাশরঞ্জন বলেন, “সাধারণভাবে অভিযোগ তোলা যায় অযোগ্যদের রক্ষা করতে যোগ্যদের ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে বঞ্চিত হয়েছে প্রচুর যোগ্য প্রার্থী। শুধু শিক্ষক নিয়োগে নয়। শিক্ষা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে এই একই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ফলে এখানে নতুন একটা কমিটি তৈরি করে যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই করার উপায় থাকলে সুপ্রিম কোর্টে সেপথেই দিশা দেখাতে পারত”।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in