গাছ কেটে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত - অভিযুক্তকে মারধর করে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা উত্তেজিত জনতার

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় ১৫০ জন লোক সঞ্জু প্রধানের বাড়িতে চড়াও হয়। প্রথমে তাঁকে লাঠি এবং ইট দিয়ে বেধড়ক মারা হয়। এরপর আগুন জ্বেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
অভিযুক্তকে মারধর করে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা উত্তেজিত জনতার
অভিযুক্তকে মারধর করে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা উত্তেজিত জনতারছবি প্রতীকী সংগৃহীত
Published on

গাছ কেটে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে এক ব‍্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত‍্যা করলো উত্তেজিত জনতা। মঙ্গলবার দুপুরে ঝাড়খণ্ডের সিমডেগার কোলেবিরা থানা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের নাম সঞ্জু প্রধান।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় ১৫০ জন লোক সঞ্জু প্রধানের বাড়িতে চড়াও হয়। প্রথমে তাঁকে লাঠি এবং ইট দিয়ে বেধড়ক মারা হয়। এরপর আগুন জ্বেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

সিমডেগা পুলিশ জানিয়েছে, "একটি নির্দিষ্ট গাছের কিছু অংশ কেটে বিক্রি করার জন্য সঞ্জু প্রধানকে পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত‍্যা করেছে মুন্ডা সম্প্রদায়ের লোকজন। তাঁদের কাছে এই গাছটির ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে এবং এই গাছটি সম্পর্কে অত‍্যন্ত আবেগপ্রবণ তাঁরা। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে গাছটি কেটেছিলেন নিহত ব‍্যক্তি, যা তাঁদের অনুভূতিতে আঘাত করে। আজ (মঙ্গলবার) বিপুল সংখ্যক লোক একটি সভা করে এবং সেখানে সঞ্জু প্রধানকে মারধরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।"

সিমডেগার পুলিশ সুপার ডঃ শামস তাবরেজ জানিয়েছেন, "মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মারধরের কারণে নাকি আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। উপযুক্ত ধারায় FIR দায়ের করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।"

উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ড বিধানসভা গত বছরের ডিসেম্বরে প্রিভেনশন অফ মব ভায়োলেন্স অ‍্যান্ড লিঞ্চিং বিল, ২০২১ পাশ করেছিল।

অভিযুক্তকে মারধর করে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা উত্তেজিত জনতার
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে জেলবন্দী হিন্দুত্ববাদী নেতার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দক্ষিণপন্থীদের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in