

দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ! সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন প্রায় ২৫ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চাঁদনী চক মেট্রো স্টেশনের কাছে সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির কাছাকাছি থাকা আরও চারটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। কী কারণে এই বিস্ফোরণ তা এখনও জানা যায়নি। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে গোটা দিল্লি জুড়ে।
অ্যান্টি-টেরর স্কোয়াড, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ), সিআরপিএফ, ন্যশনাল সিকিউরিটি গার্ড এবং দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য ঘটনাস্থলে রয়েছে।
বিস্ফোরণের পর আহতদের সকলকে লোক নায়ক হাসপাতালে (এলএনজেপি) নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই ৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, "এটি অত্যন্ত শক্তিশালী একটি বিস্ফোরণ ছিল।" জাতীয় রাজধানীর পাশাপাশি মুম্বাই, জয়পুর, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডেও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
বিস্ফোরণের পরের মুহূর্তের কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে, একটি গাড়ির দরজা সম্পূর্ণ উড়ে গেছে, আর একটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়া গাড়ি। আরেকটি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মেঝেতে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।
ডেপুটি চিফ ফায়ার অফিসার এ কে মালিক বলেন, "লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। সন্ধ্যা ৭:২৯ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।" পরে আরও ১৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আনা হয়।
ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘটনায় যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের দেখতে হাসপাতালেও গিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, আজই দিল্লির অদূরে ফরিদাবাদে এক ভাড়াবাড়ি থেকে ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক এবং বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে রিয়ানা এবং কাশ্মীর পুলিশের যৌথবাহিনী। ২০টি বোমার টাইমার, রিমোট এবং ওয়াকিটকিও উদ্ধার করা হয়। এর সঙ্গে জইশ জঙ্গিদের যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। এরপর আজ সন্ধ্যাতেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
এই ঘটনার পর সতর্কতা জারি হয়েছে কলকাতাতেও। লালবাজার থেকে কলকাতা পুলিশের সবক’টি থানাকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বলে খবর। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ‘নাকা চেকিং’ শুরু করেছে পুলিশ। পৃথক সতর্কবার্তা জারি করেছেন কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষও।
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘‘আজ সন্ধ্যায় দিল্লিতে বিস্ফোরণে যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনেদের হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতেরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সরকার রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি এবং অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি।’’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন