

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে আদালতের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি জানালো গুজরাটের পোরবন্দরের গোসাবারা জলাভূমির মৎস্যজীবীরা। প্রায় ৬০০ জন মৎসজীবী এই আর্জি জানিয়েছে। গোসাবারা জলাভূমির মৎস্যজীবীদের নেতা আল্লারাখা ইসমাইল ভাই থিম্মার গত বৃহস্পতিবার গুজরাট আদালতের কাছে আবেদন জানান।
প্রায় এক হাজার বছরের বেশি সময় ধরে বসবাসকারী এই মুসলিম মৎসজীবীদের অর্থনৈতিক অবস্থা বিজেপি শাসিত গুজরাটে কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে বলেই অভিযোগ। তারা আবেদনে বলেছেন বারবার উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
পোরবন্দরের গোসাবারা জলাভূমির মৎস্যজীবীদের নেতা আল্লারাখা ইসমাইল ভাই থিম্মার অভিযোগ, হিন্দু মৎসজীবীরা যে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে, সেগুলো থেকে তাঁরা ক্রমাগত বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের ভাতে মারার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
এ প্রসঙ্গে মৎস্যজীবীদের আইনজীবী ধর্মেশ গুর্জার বলেন, ‘‘২০১৬ সাল থেকে গোসাবারা বন্দরে মুসলিম মৎস্যজীবীদের নৌকো চলাচল বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। অনুমতিপত্রেরও তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।’’
হাইকোর্টে পেশ করা আবেদন অনুযায়ী, গোসাবারা মুসলিম ফিশারমেনস সোসাইটিসহ মৎসজীবী সংগঠনের অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মৎসজীবীরাই ক্রমাগত নানাভাবে চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। তাদের কোনোপ্রকার সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। চূড়ান্ত খারাপ পরিস্থিতির জন্য সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনধারণ করা তাদের পক্ষে কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওই সম্প্রদায়টি ‘রাজনৈতিক নিপীড়নে’র শিকার। মাছ ধরার অনুমতি থাকা সত্ত্বেও গোসাবারা এবং নভি বন্দর অঞ্চলের সরকারি সংস্থা ২০১৬ সাল থেকে তাদের মাছ ধরার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করছে। তাদের নোঙর করতে দেওয়া হয় না বলেই অভিযোগ। অথচ তারা কোনোরকম অসাংবিধানিক কাজের সাথে জড়িত নয়। শুধু তাই নয়, দেশের সুরক্ষার স্বার্থে পাকিস্তানের জঙ্গিদের গতিবিধি সম্পর্কে নিরাপত্তাবাহিনীকে তারা সর্বদা সাহায্য করেন।
এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে কেন্দ্রের সরকার।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন