

স্কুল চলাকালীন আচমকা ধসে পড়লো একটি সরকারি স্কুলভবন। এই ঘটনায় কমপক্ষে ছয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ১৫ জন। এদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও কয়েকজন ছাত্র আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ রাজস্থানের ঝালাওয়ার জেলায় মনোহর থানা এলাকার পিপলোড়ি গভর্নমেন্ট স্কুলে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একতলা ভবন বিশিষ্ট এই স্কুলটির ছাদ ধসে পড়ার সময় শিক্ষক ও কর্মচারী ছাড়াও প্রায় ৬০ জন শিশু ভেতরে উপস্থিত ছিল।
বাড়িটি ধসে পড়ার সাথে সাথেই স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং উদ্ধার কাজে হাত লাগান। এরপর পুলিশ এবং কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। চারটি জেসিবি মেশিনও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ধ্বংসস্তূপ সরাতে।
ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্কুল ভবনটি একেবারে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আটকে পড়া শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মীদের উদ্ধার করছেন।
সূত্র মারফত জানা গেছে, বিদ্যালয় ভবনটি ২০ বছরের বেশি পুরনো। একেবারে জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। এর আগে এই নিয়ে বেশ কয়েকবার অভিযোগ জানানো হলেও বিষয়টিতে কর্ণপাত করেননি শীর্ষ আধিকারিকরা বলে অভিযোগ। স্কুলটিতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করা হয়।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের মতে, গত কয়েকদিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে এলাকায়। সেই কারণেই ছাদটি ধসে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ধসের শব্দ এবং ছাত্রদের তীব্র চিৎকার শুনতে পায় তাঁরা। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁরা দেখেন চারিদিক ধুলোয় ভর্তি এবং বাড়িটি পুরো ধসে গেছে।
রাজস্থানের শিক্ষা সচিব কৃষ্ণ কুণাল জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান প্রায় শেষের মুখে। এই ঘটনায় ছয়জন শিশু নিহত হয়েছে।
সূত্র মারফত জানা গেছে, আহত শিশুদের চিকিৎসার জন্য মনোহর থানা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের ঝালাওয়ারের একটি বড় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কার্যালয়ের এক্স হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়, "অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এই কঠিন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত পড়ুয়াদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান করছে কর্তৃপক্ষ।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন