Himachal Pradesh: হিমাচলে অস্বস্তি কাটছেই না কংগ্রেস সরকারের, ছয় বিদ্রোহী বিধায়কের পদ খারিজ

People's Reporter: হিমাচল বিধানসভায় মোট ৬৮ টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা ৩৫। ছ’জন বিধায়কের পদ খারিজের ফলে এখন রইলেন ৬২ জন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক নামল ৩৩-এ।
হিমাচল প্রদেশের বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিং পাঠানিয়া
হিমাচল প্রদেশের বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিং পাঠানিয়াগ্রাফিক্স- সুমিত্রা নন্দন

হিমাচল প্রদেশের ছ’জন কংগ্রেসের বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজ করেছে স্পিকার। জানা গেছে, হিমাচল প্রদেশের বিধানসভাতে বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলে দলের হুইপ অমান্য করে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার কারণেই ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনে’ তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ছয় বিধায়কই রাজ্যসভার ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন।

যে ছ’জন বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন - রাজিন্দর রানা, সুধীর শর্মা, ইন্দর দত্ত লখনপাল, দেবিন্দর কুমার ভুটু, রবি ঠাকুর এবং চেতন্য শর্মা। যদিও এই ছ’জন বিধায়কের দলীয় হুইপ অমান্য করে ভোট না দেওয়াকে ‘সাহসিকতা’ বলে অভিনন্দন জানিয়েছে বিজেপি।

বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিং পাঠানিয়া বৃহস্পতিবার জানান, গতকাল বিধানসভায় বাজেট বিলে সরকারের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য দলীয় হুইপকে অমান্য করায় ৬ বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে বুধবার স্পিকার ১৫ জন বিজেপি বিধায়ককে বরখাস্ত করেছিলেন। তার জেরে বাজেট বিল পাশ করিয়ে নেয় সুখু সরকার।।

মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশে একটি মাত্র রাজ্যসভা আসনে ভোট হয়। ভোটে জয়ী হয়েই কংগ্রেস সরকারের উপর আস্থাভোটের দাবি জানিয়ে রাজ্যপাল শিবপ্রতাপ শুক্লের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। হিমাচল বিধানসভায় মোট ৬৮ টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা ৩৫। ছ’জন বিধায়কের পদ খারিজের ফলে এখন রইলেন ৬২ জন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক নামল ৩৩-এ। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের রইল ৩৪ বিধায়ক। এছাড়াও আরও তিন নির্দল বিধায়কের সমর্থন ছিল সুখু সরকারের উপর। কিন্তু সেই তিনজনও রাজ্যসভার ভোটে বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। আবার ‘বিক্ষুদ্ধ’ মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিংহ তাঁর ইস্তফা প্রত্যাহারের নতুন শর্ত দিয়ে বৃহস্পতিবার চাপ বাড়িয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্বের উপর। সব মিলিয়ে পার্বত্য রাজ্যে বেশ চাপে রয়েছে কংগ্রেস।

অন্যদিকে এই আবহে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোষ্ট করে লেখেন, “গণতন্ত্রে, জনগণের পছন্দের সরকার বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। হিমাচল প্রদেশের জনগণ এই অধিকার ব্যবহার করে এবং স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কংগ্রেস সরকার গঠন করেছে। কিন্তু বিজেপি অর্থ শক্তির ক্ষমতা, এজেন্সিগুলির ক্ষমতা এবং কেন্দ্রের ক্ষমতা অপব্যবহার করে জনগণের এই অধিকারকে চূর্ণ করতে চায়।“

হিমাচল প্রদেশের বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিং পাঠানিয়া
Kerala: শ্রম আইনে সংশোধনী আনার সময় বিজেপি সরকার শ্রমিক ইউনিয়নগুলির সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি - বিজয়ন

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in