
বিহারে ভোটার তালিকা থেকে ৫২ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়া নিয়ে রীতিমতো উত্তাল বিহার বিধানসভা। তীব্র বচসায় জড়ান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তেজস্বী।
ভোটার তালিকা সংশোধনকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে বিহারে। সংশোধনের ফলে ৫২ লক্ষ ভোটার বাদ পড়েছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৮ লক্ষের মৃত্যু হয়েছে, ২৬ লক্ষ ভোটার বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছেন এবং ৭ লক্ষ ভোটারের নাম একাধিক স্থানে নথিভুক্ত ছিল।
এই ব্যাপক বাদ পড়াকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। আদালতে মামলাও দায়ের হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে কমিশন জানিয়েছে, তালিকায় সংযোজন ও সংশোধনের জন্য পর্যাপ্ত সময় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এই নিয়ে বিহার বিধানসভায় বিতর্কে জড়ান নীতিশ কুমার এবং তেজস্বী যাদব। নীতিশ কুমারের উদ্দেশ্যে তেজস্বী বলেন, "নির্বাচন কমিশনের উচিত নিরপেক্ষভাবে কাজ করা। কমিশনের এই সিদ্ধান্ত দেখে মনে হচ্ছে গতবার যাঁরা ভোট দিয়েছিলেন তাঁরা অবৈধ ভোটার? তার মানে নীতিশ কুমার ভুয়ো ভোটারদের ভোটে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জয়ী হয়েছেন?"
পাল্টা তেজস্বীকে কটাক্ষ করেন নীতিশ কুমার। তিনি তেজস্বীকে বলেন, "আপনার পিতা যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন আপনি বাচ্চা ছিলেন। সেই সময় পরিস্থিতি কেমন ছিল তা আপনি জানেন না।"
অন্যদিকে বিহারে ভোটার তালিকার 'বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা' (SIR) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেডিইউ সাংসদ গিরিধারী যাদব। তিনি বলেন, কমিশনের কোনও বাস্তব জ্ঞান নেই। বিহারের ইতিহাস-ভূগোলই জানে না ওরা। এত দ্রুত কীভাবে ফর্ম ফিলাপ হবে? আমারই ১০ দিন সময় লেগেছে সমস্ত নথি জোগাড় করতে।
উল্লেখ্য, কমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২৪.০৬.২০২৫ তারিখের SIR আদেশ অনুসারে, ১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সময়সীমায় যেকোনো সংযোজন, বাদ বা সংশোধনের জন্য নাগরিকরা আবেদন জানাতে পারবেন।”
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরেও, মনোনয়নের শেষ তারিখ পর্যন্ত নতুন ভোটারদের তালিকাভুক্তির সুযোগ থাকবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন