

চাপের মুখে পিছু হটলেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশ সহ ৫ রাজ্যের ভোটের আগে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা করলেন তিনি। আজ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় একথা জানিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘ এক বছর ধরে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন চালাচ্ছেন দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষক। আন্দোলন চলাকালীন শতাধিক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের নোংরা কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও আন্দোলন থেকে সরেননি তাঁরা। অবশেষে সাফল্য পেল তাঁদের আন্দোলন। পিছু হটল কেন্দ্র। গুরু নানকের জন্মদিনে তিন কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, "হয়তো আমাদের তপস্যায় কিছু ঘাটতি ছিল। যে কারণে আমারা কিছু কৃষককে আইন সম্পর্কে বোঝাতে পারিনি। কিন্তু আজ প্রকাশ পর্ব। কাউকে দোষারোপের সময় নয় এটা। আজ আমি দেশকে বলতে চাই যে তিন কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। আমি যা করেছি তা কৃষকদের জন্য, যা করেছি তা দেশের জন্য।"
তবে গুরু নানকের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাতে রাজনৈতিক স্বার্থ দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। আগামী বছর পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কৃষকদের একটি বড় অংশ এই পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের। এর ওপর সম্প্রতি হওয়া দেশের একাধিক কেন্দ্রের বিধানসভা-লোকসভা উপনির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। জনগণের ক্ষোভ প্রশমনে কেন্দ্রের এই ঘোষণা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন