দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যাঙ্ক লোন জালিয়াতি! CBI-র হাতে গ্রেফতার বেসরকারি সংস্থার ডিরেক্টর

অভিযুক্তের নাম নীরজ সালুজা। তিনি লুধিয়ানার এসইএল টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালক।
নীরজ সালুজা
নীরজ সালুজাগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

১,৫৩০.৯৯ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক লোন জালিয়াতির অভিযোগে শুক্রবার লুধিয়ানার একটি বেসরকারি সংস্থার ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। অভিযুক্তের নাম নীরজ সালুজা। তিনি লুধিয়ানার এসইএল টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালক।

এসইএল টেক্সটাইল লিমিটেড নামক এই বেসরকারি কোম্পানিটিতে প্রধানত সুতো এবং কাপড় তৈরী হয়। পাঞ্জাবের মালউট, নওয়ানশহর, রাজস্থানের নেমরানা এবং হরিয়ানার হানসিতে এই সংস্থাটির শাখা রয়েছে।

সিবিআই সূত্রের খবর, ২০২০ সালে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগে এসইএল টেক্সটাইল লিমিটেড এবং এর ডিরেক্টর সালুজা, অজ্ঞাত এক সরকারি কর্মচারী এবং কোম্পানির সাধারণ কর্মীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

সিবিআই-র এক কর্মকর্তা জানান, "অভিযুক্তরা সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নেতৃত্বে দশটি ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়ামের সাথে ১৫৩০.৯৯ কোটি টাকা প্রতারণা করেছিল৷ এছাড়াও ঋণ নেওয়া বিপুল অঙ্কের টাকা বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তর করে এবং সেই লেনদেনকে বৈধতা দিতে একাধিক ভুয়ো এন্ট্রির সাহায্য নেয়।"

তিনি আরও জানান, "অভিযুক্তরা অপরিচিত কিছু সংস্থা থেকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কিনেছিলেন এবং যার বিল প্রকৃত মূল্যের তুলনায় বেশি দেখানো হয়েছে। এমনও অভিযোগ রয়েছে, ব্যাঙ্ক লোনের মাধ্যমে অভিযুক্তরা যে পরিমাণ পণ্য কিনেছিল, সেগুলিও নয়ছয় করেছেন। কারণ, পণ্যগুলি বিক্রি করার পর যে বিপুল পরিমাণ অর্থ এসেছিল, তা পুনরায় ব্যাঙ্কে জমা করা হয়নি।"

এর আগে অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু অপরাধমূলক নথি উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে LOC (Letter of Credit) দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তবে গোয়েন্দা আধিকারিকদের দাবি, তদন্তে অসহযোগিতা করছেন সালুজা। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই শনিবার পাঞ্জাবের মোহালির বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়েছে।

নীরজ সালুজা
'নোটে গান্ধীর সঙ্গে থাকুক লক্ষ্মী-গণেশের ছবিও' - এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন কেজরিওয়াল

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in