একবার, দুবার নয়, পরপর তিনবার ২০১৯, ২০২০ এবং ২০২১-দেশের পরিকাঠামো গঠনের জন্য কেন্দ্র থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে একশো লক্ষ কোটি টাকা। এবারের পরিকাঠামো প্রকল্পের নাম গতিশক্তি। এই ঘোষণার নিয়ে বিভিন্ন মহলে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। যেমন বিরোধীদের বক্তব্য একই অংকের ঘোষণা করা প্রধানমন্ত্রী রুটিন করে ফেলেছেন। শিল্প মহলের প্রশ্ন, এই টাকা কোথা থেকেই বা আসবে। এদিকে কেন্দ্রের আয় তলানিতে।
গত দেড় বছর কোভিড আবহে লকডাউন আর তার জেরে আর্থিক মন্দা সব ক্ষেত্রেই। সরকারের আয়ও কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। তার মধ্যে গরিব কল্যাণ থেকে ১০০ দিনের কাজ, বিভিন্ন প্রকল্প বাড়িয়ে- ব্যয় বরাদ্দ বাড়ছে। এখন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি সম্পদ বিক্রির পথ বেছে নিয়েছে কেন্দ্র।
সরকারি সংস্থা থেকে ব্যাঙ্ক, বিমা থেকে বন্দর পরিকাঠামো-বেসরকারিকরণের তালিকায় আছে সব লাভজনক সংস্থাই। চলতি আর্থিক বছরে এ পর্যন্ত সরকারি সংস্থা বিক্রি করে আয় হয়েছে মাত্র ৮ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা। অথচ লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছিল ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটির।
কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুই বছর আগে ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট ১০০ লক্ষ কোটির আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট ১০০ লক্ষ কোটির ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার পাইপলাইন প্রকল্প আর ২০২১-এর ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন ১০০ লক্ষ কোটি টাকার গতিশক্তি পরিকাঠামো প্রকল্প। আমরা সৌভাগ্যবান যে, আমাদের কাছে এখন তিন বছরে ৩০০ লক্ষ কোটির পরিকাঠামো প্রকল্প আছে। এই পরিমাণ জিডিপির থেকেও বেশি!
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।