
ভারতে আসার পর কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, তা আগেই দেশের নাগরিকদের জানিয়েছিল আমেরিকা। আর এবার ভারতের পাঁচটি জায়গা নিয়ে দেশের নাগরিকদের বিশেষ ভাবে সতর্ক করল ওয়াশিংটন। এমনকি এই পাঁচটি জায়গায় যাওয়ার আগে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
সেই পাঁচটি জায়গা হল - জম্মু ও কাশ্মীর (লে এবং লাদাখ বাদে), ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এবং সীমান্তবর্তী এলাকা, মাওবাদী উপদ্রুত মধ্য ও পূর্ব ভারতের একাংশ, মণিপুর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্য। গত ১৬ জুন ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ভারতে ধর্ষণ, সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং যৌন নিপীড়নমূলক অপরাধের আশঙ্কা রয়েছে। কিছু এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে। বিবৃতিতে ধর্ষণকে ভারতে 'সবচেয়ে বৃদ্ধি পাওয়া অপরাধ' হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এমনকি নয়া বিজ্ঞপ্তিতে, উল্লেখিত ওই পাঁচ জায়গায় মহিলাদের একা যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
নয়া নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় নিয়মবিধি মেনে চলতে হবে। অবৈধ ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী যেমন স্যাটেলাইট ফোন অথবা জিপিএস ডিভাইস নিয়ে যাতায়াত কিংবা ভিসার মেয়াদ ফুরোনোর পরে ভারতে থাকা যাবে না। নাহলে নিয়ম না মানার অপরাধে জরিমানা এবং গ্রেফতারির মতো শাস্তি ভোগ করতে হবে। এছাড়া ভারতে বসবাসকারী আমেরিকার সরকারি কর্মীদের বিনা অনুমতিতে পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, ওড়িশার মতো রাজ্যগুলির রাজধানী না ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার স্পষ্ট বার্তা, কোনও বিপদে ভারতের গ্রামীণ কিংবা বিপদসঙ্কুল এলাকায় সাহায্য করা সম্ভব হবে না।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই বিবৃতিকে হাতিয়ার করে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। কর্ণাটক কংগ্রেস তাদের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, "মার্কিন প্রসাশনের এই ট্রাভেল অ্যাডভাইসরি ভারতকে হতবাক করে দিয়েছে। ধর্ষণ, হিংসা এবং সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে ভারতে মহিলাদের একা ভ্রমণ না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। একে কি প্রধানমন্ত্রীর "নিরাপদ ভারত" আখ্যানের পতন হিসেবে ধরে নেওয়া হবে? এই ঘটনা নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির জন্য একটি বিশ্বব্যাপী লজ্জা।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন