

পোল্যান্ড সীমান্তে সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। লিভিভে এই সামরিক ঘাঁটি আসলে ন্যাটো পরিচালনা করে থাকে। গত ২০১৫ সাল থেকে এখানে আমেরিকা ও ন্যাটোর তত্ত্বাবধানে সামরিক প্রশিক্ষণ চলছে। এই ঘাঁটির নাম ইন্টারন্যাশনাল পিস কিপিং অ্যান্ড সিকিউরিটি সেন্টার। এখানে ন্যাটোর আন্তর্জাতিক সামরিক মহড়া হয়েছে।
পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে এই ঘাঁটিতে আক্রমণে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও আর একটি সূত্র বলছে, মৃতের সংখ্যা নয়। ইউক্রেনে পোল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র পাঠাচ্ছে ন্যাটো। রাশিয়া অবশ্য আগেই সতর্ক করেছিল যে বিদেশী অস্ত্রসামগ্রী লক্ষ্য হতে পারে।
ইউক্রেনের দাবি, অধিকাংশ মিসাইলকে তারা রুখে দিতে পেরেছে। তার মধ্যে কয়েকটি এসে আছড়ে পড়ার জেরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই সামরিক ঘাঁটিকে আক্রমণ করে রাশিয়া ন্যাটোকেই সাবধান করতে চেয়েছে। ন্যাটো রাশিয়া সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে বলে মস্কোর অভিযোগ।
পশ্চিমপ্রান্তে আর একটি সামরিক ঘাঁটিতে রাশিয়া গুলি ছুড়েছে। ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক শহরের বিমানবন্দর সামরিক কাজে ব্যবহৃত হয়। অসামরিক বিমানের জন্য একটি রানওয়ে আছে। উত্তর প্রান্তের চেরনিহিভ শহরে গোলাবর্ষণের জেরে মৃত্যু হয়েছে একজনের। ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া পূর্ব প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ শুরু করলেও এখন তা দেশের অন্য প্রান্ত ছড়াচ্ছে।
এই অবস্থায় ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভোলদিমির জেলেনস্কি দেশের আকাশপথকে 'নো ফ্লাই জোন' ঘোষণা করার জন্য দাবি জানান। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটোকে বারবার আবেদন করার পরও রাজি হয়নি। আমেরিকার দাবি, যদি তা করা হয়, তবে রাশিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। পর্যবেক্ষকদের মতে, রাশিয়া এখনও ইউক্রেনের আকাশপথে ঢোকেনি, রাশিয়ান আকাশপথেরই মিসাইল ছুড়ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন