

২১ বছর বয়সী সৈনিকেশ রবিচন্দ্রন। ইউক্রেনের অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে যখন ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীরা সে দেশ থেকে একে কে ফিরে আসছিল, তখন বেপাত্তা হয়ে যান তিনি। পরে জানা যায়, সে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সাথে যোগ দিয়েছে। অস্ত্র তুলে নিয়েছিল তামিলনাড়ুর এই তরুন ভারতীয় ছাত্র।
সময় যত এগিয়েছে ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হয়েছে। সৈনিকেশের বাবা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে ফিরতে চাইছে। কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ছেলেকে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
২০১৮ সালে সৈনিকেশ খারকিভের ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিতে যোগদান করে এবং তারপর থেকে সে সেখানেই ছিল। যুদ্ধ শুরু হলে সৈনিকেশ জর্জিয়ান ন্যাশনাল লিজিয়নে যোগ দেয়। এটি একটি আধাসামরিক গোষ্ঠী যা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের সাহায্য করে।
সৈনিকেশের বাবা রবিচন্দ্রন জানিয়েছেন, তিন দিন আগে ছেলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। সে বাড়ি ফিরতে রাজি আছে। সম্প্রতি, গোয়েন্দা আধিকারিকরা ছাত্রটির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরিবারের আশা, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিরাপদে সৈনিকেশকে ফিরিয়ে আনবে।
প্রসঙ্গত, সৈনিকেশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার উচ্চতার কারণে দুবার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। ইউক্রেনের আধাসামরিক বাহিনীতে যোগদানের পেছনে এটিও একটি কারণ বলে জানা গেছে। সৈনিকেশ যুদ্ধ শুরুর আগে ইউক্রেনে একটি ভিডিও গেম ডেভেলপিং ফার্মে চাকরিও পেয়েছিল সে।
With IANS inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন