
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটাভুটিতে এবারও পক্ষে বা বিপক্ষে কোনটিতেই ভোট দিল না ভারত। যুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে রাশিয়া, এই অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রসঙ্ঘের দ্বারস্থ হয়েছিল ইউক্রেন। এই অভিযোগের মস্কোর বিরুদ্ধে ভোটাভুটির প্রস্তাবে পক্ষে মোট ৩২টি দেশের ভোট পড়ে। প্রস্তাবের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ভোট দেওয়ায় নিরাপত্তা পরিষদকে একটা পদক্ষেপ করতেই হত। এবার মস্কোর বিরুদ্ধে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করতে চলেছে নিরাপত্তা পরিষদ।
ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘর্ষের আজ ১০ দিন। রাজধানী কিয়েভ, খারকভ-সহ বেশ কয়েকটি শহরে আছড়ে পড়ছে একেরপর রুশ এক মিসাইল, গোলা। যুদ্ধের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। তার আগে অবশ্য ইউক্রেনের দুটি রুশপন্থী অঞ্চলকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে দেয় মস্কো। অভিযোগ, রাশিয়া ইউক্রেনে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা ও ভ্যাকুয়াম বোমা ব্যবহার করেছে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত নিল মানবাধিকার পরিষদ। তাৎপর্যের বিষয়, এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল না ভারত ও চীন। একই পথে হেঁটেছে পাকিস্তানও।
জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক স্তরের স্বাধীন ভাবে গঠিত একটি কমিশনের মাধ্যমের রাশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত ভার দেওয়া হতে পারে মানবাধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই কমিশন গঠন করা হয়নি। ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার পরিষদ। তার মধ্যে অন্তত ৩২টি সদস্য দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে শুধু রাশিয়া এবং ইরিট্রিয়া। ভোট দেয়নি ভারত এবং চীন-সহ ১৩টি দেশ। ভোটাভুটির পর ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত অবশ্য রাষ্ট্রসংঘে, যাঁরা পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, এর আগে রাষ্ট্রসংঘে দুবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে ভোট দেয়নি ভারত। যুদ্ধ শুরু থেকে ভারত কোনদিকে থাকবে, সেদিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের। ভারত অবশ্য ভারসাম্যই রক্ষা করল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন