ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে কারা আছে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল বিশ্ববাসীর। রাষ্ট্রসঙ্ঘে এই ইস্যুতে ভোটাভুটি হয়। কিন্তু ভোটাভুটিতে অংশ নিল না ভারত। চীনও রাশিয়ার পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দেয়নি। একইভাবে ভারত-চীনের পথ অনুসরণ করল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার বিরোধিতা করে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। যৌথভাবে প্রস্তাব আনে আমেরিকা ও আলবেনিয়া। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আক্রমণের বিরোধিতা করে তারা দাবি জানায় যে, অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি আগ্রাসী মনোভাবের সংবরণ করতে হবে। সেই প্রস্তাবনা পেশের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দিল না এই তিন দেশ। ভোটদান প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকল তারা। সীমান্ত ইস্যুতে ভারত ও চীন একে অপরের বিরোধী হলেও এই ইস্যুতে তারা একই পথের পথিক।
এদিকে প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দিয়েছে জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, এস্টোনিয়া, লাক্সেমবার্গ, নিউজিল্যান্ড-সহ ১১টি দেশ। বিপক্ষে ভোটদান করেছে শুধু রাশিয়া। রাশিয়ার ভেটো প্রসঙ্গে আমেরিকার বক্তব্য, ‘রাশিয়া এই প্রস্তাব আটকে দিতে পারে। কিন্তু তাই বলে আমাদের কণ্ঠস্বর দমন করে রাখতে পারবে না তারা। আমাদের সত্য নীতির বা ইউক্রেনের মানুষের উপর রাশিয়া ভেটো প্রয়োগ করতে পারবে না।’
এদিকে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেন, ‘ইউক্রেনে সম্প্রতি যা ঘটেছে, ভারত তাতে উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে এই হিংসার পথ থেকে যাতে সরে এসে সবাই, সেই আবেদন করছি। মানুষের জীবনের বিনিময়ে কখনও কোনও সমাধান সূত্র আসে না। এই আবহে কূটনৈতিক আলোচনার পথ যদি বন্ধ হয়, তবে তা অত্যন্ত হতাশার। কিন্তু আমাদের কূটনীতির পথে ফিরতে হবে। তাই ভারত ভোটদান প্রক্রিয়ার থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।
