
প্রাক্তন জেহাদি কর্মী হিসেবে পরিচিত দুই ব্যক্তিকে হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা বোর্ডে নিযুক্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদের মধ্যে একজন, ইসমাইল রয়ার এবং অন্যজন হলেন শেখ হামজা ইউসুফ। এই খবর প্রকাশ্যের আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
লরা লুমার নামের এক মার্কিন সাংবাদিকের দাবি অনুযায়ী, এই দুজনের বিরুদ্ধে জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক থাকার অতীত রয়েছে। ইসমাইলের আসল নাম র্যান্ডেল টড রয়ার। তিনি ২০০০ সালে ধর্ম পরিবর্তন করেন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। নাম হয় ইসমাইল রয়ার।
২০০০ সালে পাকিস্তানে লস্কর-ই-তৈয়বার (LeT) একটি সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করেছিলেন ইসমাইল রয়ার। ২০০৪ সালে সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট অভিযোগে এক মার্কিন আদালত রয়ারকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায়। তবে তিনি মাত্র ১৩ বছর কারাবাস ভোগ করেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, রয়ার 'ভার্জিনিয়া জেহাদি নেটওয়ার্ক'-এর সদস্য হিসেবে অন্যান্য ব্যক্তিদের সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণে পাঠাতে সাহায্য করেন এবং লস্কর-ই-তৈবার মতো সংগঠনকে মদত দেন।
উপদেষ্টা বোর্ডে নিযুক্ত আরও একজন ব্যক্তি হলেন শেখ হামজা ইউসুফ। তিনি জায়তুনা কলেজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধেও ইসলামিক জেহাদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের মতো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ করেছেন লরা লুমার।
লুমার এই নিয়োগকে “উন্মাদনা” বলে কটাক্ষ করেছেন। পাশাপাশি ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজকে বরখাস্তের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তাঁর মতে, এই ধরণের ব্যক্তিদের হোয়াইট হাউসের পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত করা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগের।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসমাইল রয়ার বর্তমানে ধর্মীয় স্বাধীনতা ইনস্টিটিউটের ইসলাম ও ধর্মীয় স্বাধীনতা অ্যাকশন টিমের পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। যদিও তাঁর অতীত নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, প্রশাসনের দাবি—তিনি এখন শান্তি ও সহনশীলতা প্রচারে কাজ করছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন