Donald Trump: যৌন নির্যাতনের মামলায় ট্রাম্পের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ, ৫০ লক্ষ জরিমানা

ক্যারোলের উপর যৌন নির্যাতন ও মানহানির মামলায় এর আগে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে যে রায় দেওয়া হয়েছিল সেটাই যথার্থ।
প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পফাইল ছবি- সংগৃহীত
Published on

বিশিষ্ট লেখিকা ই. জিন ক্যারোলের করা যৌন নির্যাতন ও মানহানির মামলায় আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হয়ে গেল। হারের মুখ দেখতে হল আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। বিচারকের মতে, ক্যারোলের উপর যৌন নির্যাতন ও মানহানির মামলায় এর আগে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে যে রায় দেওয়া হয়েছিল সেটাই যথার্থ। তবে এখনও পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি। ট্রাম্পকে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ম্যানহ্যাটন শহরের একটি বিলাসবহুল ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ড্রেসিং রুমে ট্রাম্প তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ আনেন বর্তমানে ৭৯ বছর বয়সী ই. জিন ক্যারোল। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ করে নিউ ইয়র্কের আদালতে গত বছর তিনি মামলা দায়ের করেন। জবাবে ক্যারোলের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলেন ট্রাম্প। এর জন্য প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের নামে মানহানির মামলাও করেন লেখিকা। ক্যারোল তাঁর এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা নিজের লেখা বইতেও জানিয়েছেন।

এই মামলায় কয়েকমাস আগেই বিচারকমণ্ডলী ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং ক্যারোলকে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ট্রাম্প আদালতের কাছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানান। বুধবার ম্যানহ্যাটনের ডিসট্রিক্ট আদালতের বিচারক লুইস কাপলান ট্রাম্পের সেই আবেদন খারিজ করে দেন। অর্থাৎ গত ৯ মে নয় সদস্যের বিচারকমণ্ডলী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছিলেন, সেই রায়কেই বহাল রাখা হল।

প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প
Donald Trump: প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরকারি নথি চুরির অভিযোগ
প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প
যৌন হেনস্থায় দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ৫০ লক্ষ ডলার জরিমানা আদালতের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in