
দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য মার্কিন ভিসা ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তন আনল ট্রাম্প প্রশাসন। যার জেরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ভারতীয় কর্মীরা। মার্কিন প্রশাসনের এই ঘোষণার পরেই এক এক্স বার্তায় (পূর্বতন ট্যুইটার) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ওই বার্তায় তিনি বলেন, "আমি আবারও বলছি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী দুর্বল।"
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার ঘোষণা করেন, এইচ-১বি ভিসাধারী প্রত্যেক কর্মীর জন্য তাঁদের নিয়োগকর্তাকে বছরে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা) ফি দিতে হবে। অর্থ না দিলে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে তাঁদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, রবিবার রাত ১২টা ১ মিনিট (ইস্টার্ন টাইম) থেকে কার্যকর হবে এই নিয়ম। অর্থাৎ নতুন এইচ-১বি ভিসা, মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন সব ক্ষেত্রেই বার্ষিক ১ লক্ষ ডলার ফি দিতে হবে।
প্রকাশিত ঘোষণায় বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র সুরক্ষা দপ্তর (Department of Homeland Security) বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড় দিতে পারে - যদি সংশ্লিষ্ট ভিসাধারীর চাকরি মার্কিন জাতীয় স্বার্থে জরুরি হয় এবং দেশের নিরাপত্তা বা জনকল্যাণের জন্য হুমকি না হয়। এই বিধিনিষেধ আপাতত ১২ মাস বলবৎ থাকবে, তবে ফেডারেল অভিবাসন সংস্থার সুপারিশে তা বাড়ানো যেতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই পদক্ষেপ “এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রামের অপব্যবহার রুখতে” নেওয়া হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত এই ভিসার জন্য কোম্পানিগুলিকে মাত্র ১,৫০০ ডলার প্রশাসনিক ফি দিতে হতো।
মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা (USCIS)–এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেওয়া প্রায় ৪ লক্ষ এইচ-১বি ভিসার ৭২ শতাংশই ভারতীয়দের দখলে। ফলে নতুন নিয়মে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ভারতীয়রা।
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক জানিয়েছেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি এইচ-১বি ভিসার জন্য তিন বছরের মেয়াদে প্রতি বছর ১ লক্ষ ডলার দিতে হবে। তবে বাস্তবায়নের কিছু বিষয় এখনও বিবেচনাধীন রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন