

ফের খাবারের জন্য মৃত্যু হল পাঁচ জন প্যালেস্টাইনি শরণার্থীর। আহত প্রায় ১০ জন। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম গাজার আল শাতি শরণার্থী শিবিরের সামনে। জানা গেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণ বোঝাই বাক্স চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই শরণার্থীদের। বিমান থেকে ফেলা খাবার ভর্তি প্যারাসুটটি ঠিক সময়ে না খোলায় এই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে খবর।
শুক্রবার, ওই ঘটনাটির সময় আল শাতি শরণার্থী শিবিরের সামনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক কাদের আল জানুন। ঘটনাটি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করার পর তিনি সিএনএন-কে জানান, বিমান থেকে প্যারাস্যুটের মাধ্যমে অনেকগুলি ত্রাণবোঝাই বাক্স ফেলা হচ্ছিল। তার মধ্যে একটি প্যারাসুট সময়মতো না খুলে আছড়ে পড়ে শরণার্থী শিবিরের সামনের জমায়েতে।
ওই সময় শিবিরের সামনে বহু শরণার্থীর ভিড় থাকায় আহত হয়ে পড়েন বহু মানুষ। তড়িঘড়ি আহতদের স্থানীয় আল শিফা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, আহতদের মধ্যে পাঁচ জন মৃত। বাকি ১০ জন গুরুতর আহত।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্যারস্যুটের মাধ্যমে এই ত্রান পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল আমেরিকা ও জর্ডন। যদিও জর্ডনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে - তারা এই কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে - 'শুক্রবার গাজায় ত্রাণবাহী যে প্যারাস্যুট প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য অবাধে মাটিতে পড়ে গিয়েছে, তা জর্ডনের বিমান থেকে ফেলা হয়নি।'
এই মর্মান্তিক ঘটনায় জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এয়ারড্রপের মাধ্যমে ত্রান সরবরাহ কোন বিকল্প হতে পারে না। আরও বেশি ট্রাককে সীমান্ত দিয়ে গাজায় পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন