শান্তিচুক্তি এখন 'আবর্জনাময় ইতিহাস' - ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ পুতিনের!

পুতিন বলেন, ইউক্রেন শান্তিচুক্তি পত্র 'জঞ্জালে'র বাক্সে ফেলে দিয়েছে। বলা যেতে পারে 'ইতিহাস' হয়ে গেছে। চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ইউক্রেনই। রাশিয়া নয়।
ভ্লাদিমির পুতিন
ভ্লাদিমির পুতিনফাইল ছবি তাস-র সৌজন্যে
Published on

ফের ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনের অভিযোগ, শান্তিচুক্তিতে সই করেও শর্ত উপেক্ষা করেছে ইউক্রেনই। ইউক্রেনের তরফ থেকে যদিও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

দুই দেশের যুদ্ধের কবে ইতি ঘটবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। দুই রাষ্ট্রনায়ক একাধিক বার একে অন্যের দিকে আঙুল তুলেছেন। যুদ্ধের অন্যতম কারণ হিসেবে জেলেনস্কিকে দায়ী করেছিলেন পুতিন। ফের একই সুরে কথা বলতে শোনা গেল রুশ প্রধানকে।

সম্প্রতি আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্গত দেশগুলির প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রনায়কদের সাথে বৈঠক করেন পুতিন। সেখানেই তিনি বলেন, ইউক্রেন শান্তিচুক্তি পত্র 'জঞ্জালে'র বাক্সে ফেলে দিয়েছে। বলা যেতে পারে 'ইতিহাস' হয়ে গেছে। চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ইউক্রেনই। রাশিয়া নয়।

পুতিন আরও বলেন, রাশিয়া কখনই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নতির আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করেনি। আপনারা সকলেই জানেন ইউক্রেন ও রাশিয়া সম্পর্ক যাতে মজবুত ও বিশ্বস্ত হয় তার জন্য তুরস্কে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিতে বলা হয়েছিল ইউক্রেনের স্থায়ী নিরপেক্ষতা এবং সুরক্ষার নিশ্চয়তা। এই চুক্তি আমরা আগে কোথাও দেখায়নি বা আলোচনাও করিনি। চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা শুরু হয়েছিল কিয়েভ থেকেই। তুরস্কে উপস্থিত থাকা কিয়েভের মধ্যস্থতাকারী দলই প্রকাশ্যে আলোচনা করেছে। চুক্তির শর্ত ভেঙ্গেছে ইউক্রেনই।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বসন্তকালে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চুক্তিটি সম্পন্ন হয়েছিল। সেই চুক্তিপত্রটি বৈঠকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসার সামনে তুলে ধরেন। ওই বৈঠকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সেনেগাল, ইজিপ্ট, জাম্বিয়া, উগান্ডা, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং কোমোরো আইল্যান্ডের রাষ্ট্রনায়ক ও প্রতিনিধিরা।

ভ্লাদিমির পুতিন
Ukraine Crisis: আবার কিয়েভ আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া! পুতিনের মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in