
কানাডার নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর আমেরিকাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন আমেরিকার সাথে কানাডার পুরনো সম্পর্ক এখন অতীত।
কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা লিবারেল পার্টির নেতা জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর পার্টির নেতৃত্বভার সামলান মার্ক কার্নি। দলের দায়িত্ব পেয়েই তিনি জানিয়েছিলেন, “আমেরিকা কানাডা নয়। কানাডা কখনও কোনওভাবেই, কোনও আকারে বা কোনো অবস্থাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না। আমেরিকানরা আমাদের সম্পদ, আমাদের জল, আমাদের জমি, আমাদের দেশ চায়। যদি তারা সফল হয়, তাহলে তারা আমাদের জীবনযাত্রাকে ধ্বংস করে দেবে।”
এবার নির্বাচনে জয়ী হয়েই ফের আমেরিকার সমালোচনায় সরব হলেন তিনি। মার্ক বলেন, “আমাদের সঙ্গে আমেরিকার পুরনো সম্পর্ক এখন অতীত। আমেরিকার বিশ্বাসঘাতকতায় আমরা বিস্মিত হয়েছি।”
গত বছর ডিসেম্বর মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ‘গ্রেট স্টেট অফ কানাডা’-র ‘গভর্নর’ হিসেবে উল্লেখ করে কানাডার পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। ৩ ফেব্রুয়ারি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প পরামর্শ দিয়েছিলেন, কানাডার উচিত ৫১তম মার্কিন ‘স্টেট’ হওয়া। তাহলে তারা মার্কিন শুল্ক এড়াতে পারবে, পাশাপাশি সামরিক সুরক্ষাও পাবে। ট্রাম্পের এই মন্তব্য কানাডার ‘সার্বভৌমত্ব’-র অপমান হিসাবেই বিবেচনা করছে কানাডা সরকার।
উল্লেখ্য, কানাডায় মোট আসন ৩৪৩টি। ১৭২টি আসন জিতলেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া যাবে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী লিবারেল পার্টি ১৬৮ আসনে এগিয়ে রয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টি এগিয়ে আছে ১৪৪ আসনে। BQ ২৩টি আসনে, নিউ ডেমোক্র্যাটিক ৭টি আসন এবং গ্রিন পার্টি এগিয়ে আছে ১টি আসনে। ৯৯% ভোটগণনা সম্পূর্ণ হয়েছে।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়করা মার্ক কার্নিকে শুভেচ্ছা জানালেও প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ট্রাম্প শুভেচ্ছা জানাননি। ভারত সহ বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র কানাডাকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন কী করে সেটাই দেখার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন