Bangladesh: রাশিয়ার ওপর জারি করা মার্কিনি নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা শেখ হাসিনার

হাসিনা বলেন, ‘কোনো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। সেটা আশা করি বুজতে পারছে আমেরিকা ও ইউরপীয় ইউনিয়নগুলি। তাই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া উচিত’।
শেখ হাসিনা ও ভ্লাদিমির পুতিন
শেখ হাসিনা ও ভ্লাদিমির পুতিনগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকাকে কড়া আক্রমণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভুল করছে আমেরিকা। যার ফলে একাধিক দেশকে কষ্ট পেতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ‘বঙ্গবন্ধু কূটনৈতিক উৎকর্ষ পদক’ বিতরণ অনুষ্ঠানে এমনই বলেছেন তিনি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়াকে একঘরে করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পশ্চিমা দেশগুলি। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে বাইডেনের আমেরিকা। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সরকারের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘কোনো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। সেটা আশা করি বুঝতে পারছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নগুলি। তাই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া উচিত’।

পাশাপাশি তিনি এও বলেন, যারা যুদ্ধ করছে করুক। কিন্তু তার জন্য অন্যান্য দেশগুলি ক্ষতির সম্মুখীন হবে কেন? উল্লেখ্য, যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি বহু সমস্যায় পড়ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নগুলিও সমস্যার পড়েছে। উন্নত দেশগুলির জনগণও নিষেধাজ্ঞার ফলে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। সেদিকেও নজর দেওয়া উচিত পশ্চিমাদের।

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাংলাদেশের তেল আমদানিতে ব্যাঘাত ঘটছে। যার অন্যতম কারণ হচ্ছে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়া।

ঐ অনুষ্ঠানে হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘এইভাবে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কী অর্থ থাকতে পারে আমি ঠিক জানি না। এখানে তো আমি বলবো এক দিক থেকে বলতে গেলে এটাও তো মানবাধিকার লঙ্ঘন করার শামিল। মানুষের যে অধিকার আছে সেই অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়'।

শেখ হাসিনা ও ভ্লাদিমির পুতিন
পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল! ভারত ও চীনে জ্বালানি বেচে ৩ মাসে ২৪ বিলিয়ন ডলার আয় রাশিয়ার

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in