

ইরানের রাষ্ট্রপতি সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসির আকস্মিক মৃত্যুতে হতবাক গোটা কূটনৈতিক মহল। এই দুঃসময়ে শোকজ্ঞাপন করে ইরানের পাশে থাকার বার্তা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে শোকজ্ঞাপন করে লেখেন, "ইরানের রাষ্ট্রপতি সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসির মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীরভাবে মর্মাহত আমি। ভারত-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়। তাঁর পরিবার এবং ইরানের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। ভারত এই দুঃখের সময়ে ইরানের পাশে আছে"।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও শোকজ্ঞাপন করেছেন। তিনি লেখেন, 'হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি এবং বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর খবর শুনে গভীরভাবে মর্মাহত। তাঁদের সাথে আমার অতীতের বৈঠকগুলির কথা মনে পড়ছে। সম্প্রতি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেই একটি বৈঠক করেছিলাম। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাই। এই দুঃখের সময়ে ইরানের জনগণের পাশে আমরা আছি'।
উল্লেখ্য, ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। গতকাল আরস নদীর উপরে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করার কথা ছিল ইরানের প্রেসিডেন্টের। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্যই কপ্টারে করে যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। গন্তব্যস্থলের মাঝেই পার্বত্য এলাকায় ভেঙে পড়ে কপ্টারটি। সোমবার ইরানের সংবাদমাধ্যম জানায় ওই হেলিকপ্টারে থাকা সকলেই প্রাণ হারিয়েছেন।
২০২১ সাল থেকে ইরানের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন রাইসি। এমনকি গত ১৩ মে চাবাহারে থাকা ইরান বন্দরে সাথে ১০ বছর চুক্তি করে ভারত। যাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন রাইসি। এই চুক্তির ফলে দুই দেশেরই বাণিজ্যিক উন্নতি হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন