

নিজেদের দেশের মধ্যেই বিমান হামলা চালালো পাকিস্তান এয়ারফোর্স! যার জেরে খাইবার পখতুনখোয়ার একটি গ্রামে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, জঙ্গি দমনের উদ্দেশ্যে খাইবার পখতুনখোয়ার মাতরে দারা গ্রামে রাত ২টো নাগাদ জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান থেকে এলএস-৬ বোমা ফেলা হয়েছিল। বিস্ফোরণে গ্রামের একাধিক বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। অনেক বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এয়ার ফোর্স ওই এলাকায় সন্দেহভাজন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP) এর আশ্রয়স্থলগুলোকে নিশানা করেছিল। তবে নিহতরা সবাই সাধারণ নাগরিক ছিলেন, যা হামলার লক্ষ্যভেদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সম্প্রতি পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে আফগান সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহবাজ শরিফ সম্প্রতি কাবুলকে সতর্ক করে বলেছেন, আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদীদের পক্ষ নেওয়া নতুবা পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানো - এই দুইয়ের মধ্যে একটা বেছে নিতে হবে।
বেশকিছু দিন ধরেই খাইবার পখতুনখোয়ায় সামরিক অভিযান জোরদার হয়েছে। রবিবার পাকিস্তানি সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেরা ইসমাইল খান জেলায় এক গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযানে সাতজন TTP সদস্য নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন আফগান নাগরিক এবং দুইজন আত্মঘাতী বোমাবাজ ছিলেন। চলতি মাসের প্রথম দিকে, ১৩-১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খাইবার পখতুনখোয়ায় দুটি পৃথক সংঘর্ষে অন্তত ৩১ জন TTP সদস্য নিহত হন।
খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশ সূত্রে খবর, এই বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে প্রদেশে ৬০৫টি সন্ত্রাসবাদী ঘটনা ঘটেছে, যেখানে কমপক্ষে ১৩৮ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ৭৯ জন পাকিস্তানি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। শুধুমাত্র আগস্ট মাসেই ১২৯টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৬জন পাকিস্তানি সেনা এবং আধাসামরিক ফেডারেল কনস্টেবলের সদস্য নিহত হয়েছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার সহ-আঞ্চলিক পরিচালক ইসাবেল ল্যাসি বলেন, "পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ খাইবার পাখতুনখোয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন